কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান রনি ইসলামকে সেই সময় প্রথমে কবিরাজি চিকিৎসা করানো হয়েছিল। পরে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয়। ধরা পড়ে রক্তশূন্যতা। সেবারই প্রথম রক্ত নিতে হলো। বছর দুই পরে আবারও অসুস্থতা। রাজশাহীতে চিকিৎসা হয় সেবার। রক্ত নিতে হয় আবারও। এরপর প্রায়ই রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে থাকে।

পড়ালেখা করে কী হবে!

ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় দারুণ আগ্রহ রনির। অসুস্থতার জন্য পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্যও করতেন। রনি ইসলাম বলেন, ‘কেউ বলতেন ক্যানসার হয়েছে। কেউ উপহাস করতেন, এই শরীরে এত পড়ালেখা করে কী হবে! কেবল আমাদের প্রতিবেশী হাজী রফিকুল ইসলাম চাচা সাহস দিয়েছিলেন। পরবর্তী জীবনেও যথাসাধ্য করেছেন চাচা।’ তবে সেই সময় অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়ালেখা করা হয়নি রনির। এদিকে পেটখানা বড় হয়ে যাচ্ছিল। বয়স যখন ১৭, তখন সুস্থতার আশায় জমিজমা বিক্রি করে রনির প্লীহা নামের অঙ্গটি অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হলো।

নতুন যুদ্ধের সূচনা

পরিবারের চাপে ১৭ বছর বয়সেই বিয়ে করেন রনি। এর পর থেকে প্রতি মাসে রক্ত নিতে হতো তখন, শরীর একেবারেই ভালো নয়। কিন্তু স্ত্রীর দায়িত্বও তো অস্বীকার করা যায় না। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী সেই চাচা রফিকুল ইসলামের সহায়তায় রনি বিক্রয়কর্মীর চাকরি শুরু করেন গাজীপুরে। পরের বছর পদোন্নতিও হয়। সেবারই কোয়ান্টামের ভ্রাম্যমাণ ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জানতে পারেন।

আরও পড়ুনথ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা২৯ এপ্রিল ২০২৪সত্যের মুখোমুখি

২০১৫ সালে ঢাকায় এসে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে পৌঁছে অবাক হয়েছিলেন রনি। দেয়ালে কার্টুনের ছবি, শিশুরা রক্ত নিচ্ছে, কেউ কেউ খেলছে, আর নার্সরা গান গাইছেন। চিকিৎসাকেন্দ্র কি এমন হতে পারে! ডা.

সাজিয়া ইসলাম পরীক্ষা করলেন রনিকে। জানালেন, রনিকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। রক্তের রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হলেন, তাঁর ধারণাই ঠিক। এবার ভীষণ হতাশা গ্রাস করে নেয় রনিকে। এ এমন রোগ, যার বোঝা বইতে হবে সারা জীবন। চিকিৎসকের পরামর্শে ভাই, বোন ও স্ত্রীরও রক্ত পরীক্ষা করানো হলো। জানা গেল, রনির এক বোন থ্যালাসেমিয়া রোগী, আরেক বোন থ্যালাসেমিয়া বাহক। রনির স্ত্রীও থ্যালাসেমিয়া বাহক। তার মানে, তাঁদের সন্তান হলে তারও থ্যালাসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৭৫ ভাগ! সেই মুহূর্তে রনির মনে হয়েছিল, জীবন বড় নিষ্ঠুর। একজন মানুষ থ্যালাসেমিয়া বাহক কি না, তা যে বিয়ের আগেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া কত জরুরি, রনি সেবারই প্রথম জানলেন। তাঁর মা-বাবা দুজনই তো দিব্যি সুস্থ। কিন্তু দুজনেই ছিলেন বাহক। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাহক হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা ২৫ শতাংশ।

তবু যুদ্ধ চলে...

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন ফান্ডের মাধ্যমে রনির চিকিৎসা চলছিল। সেখানের কর্মীরা কেবল চিকিৎসাই নয়, সাহসও দিতেন। ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. আবদুর রহিমের সঙ্গে পরিচয় সেখানেই। চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে অসুস্থতার কারণে রনি গাজীপুরের চাকরিটা ছেড়ে দেন, পরের বছর নারায়ণগঞ্জ চলে আসেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। রনির থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ার পর থেকেই তাঁর দাম্পত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই পরিবারে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। তবে স্ত্রী তাঁর পাশে ছিলেন সব সময়। এদিকে পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে প্রায়ই বেশ রাত অবধি কাজ করতে হতো রনিকে। কখনো কাজ থাকত সারাটা রাত। শরীরে কুলাচ্ছিল না। সে বছরই আবার চাকরি ছাড়লেন বাধ্য হয়েই। এরপর কী করলেন? রনি বললেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়া চলে গেলাম। রোজগারের চেষ্টায় অন্য এলাকায় গিয়ে পাট কাটা ও পেঁয়াজ তোলার মতো কাজও করেছি দিনমজুর হিসেবে। তবে অসুস্থ শরীরে সেই ধকলও সইল না। তাই ২০১৮ সালে ডা. আবদুর রহিমের সঙ্গে আবার দেখা হলে নিজের সমস্যার কথা জানালাম।’

আরও পড়ুনকেউ থ্যালাসেমিয়া বাহক কিনা, তা বুঝবেন কীভাবে এবং থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা কী০৮ মে ২০২৩বদলে যাওয়ার গল্প

সে বছরই ল্যাব সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে যোগদান করেন মো. রনি ইসলাম। বদলে যায় জীবন। ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় তাঁর ও তাঁর বোনের চিকিৎসা চলছিল। বেতনের টাকায় সাচ্ছল্যের মুখ দেখলেন। তবে বোন মারা যান ২০১৯ সালে। ওদিকে পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির চাপে রনির বিয়েটাও ভেঙে যায় পরের বছর। মানসিক আঘাত সামলে ২০২১ সালে আবার বিয়ে করেন মো. রনি ইসলাম। এবার আর বিয়ের আগে স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা করাতে ভুল করেননি। জীবনটা একটু স্থিতি পেলে রনির পড়ালেখার তীব্র ইচ্ছাটা আবার জেগে ওঠে। ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়ই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পড়ালেখা শুরু করেন। ২০২৩ সালে তাঁর প্রথম কন্যা পৃথিবীর আলো দেখে। এ বছর দ্বিতীয় কন্যা জন্ম নিয়েছে। রনির সংসার এখন পরিপূর্ণ। গত বছর চাকরি ছেড়ে কুষ্টিয়া গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সুবিধা হয়নি। ৩ মাস ১১ দিন পর আবার ফাউন্ডেশনে যোগ দেন সেখানকার ফার্মেসির বিক্রয়কর্মী হিসেবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও অংশ নিচ্ছেন। নিজ উদ্যোগে একটি ব্যবসাও দাঁড় করিয়েছেন। মালিবাগে গড়ে তুলেছেন আল হেরা সুগন্ধি স্টোর। সুগন্ধি ছাড়াও সেখানে পাওয়া যায় টুপি। জীবনের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের সামনে হার না মানা মো. রনি ইসলাম স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশ একদিন থ্যালাসেমিয়ামুক্ত হবে। প্রতিটি সুস্থ মানুষ বিয়ের আগে যদি জানতে পারেন, তিনি থ্যালাসেমিয়া বাহক কি না, কেবল তাহলেই রনির স্বপ্ন পূরণ হবে। নতুন করে এমন ভয়াবহতায় পড়বে না আর একটি প্রাণও। আর থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে কারও হয়তো তাঁর এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে—এমনটাও আশা করেন তিনি।

আরও পড়ুনথ্যালাসেমিয়া রোগী আর বাহক কিন্তু এক নয়৩১ অক্টোবর ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র চ কর পর ক ষ ব হক ক প রথম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ, আছে আইইএলটিএসের বিকল্প

ইউরোপের অন্যতম দেশ সুইডেন বছরের পর বছর ধরে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত আর্থসামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করে আসছে। বিশ্বখ্যাত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এ আশ্রয়স্থলে ক্যারিয়ার গঠন হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নতুল্য। চলুন, শেনজেনভুক্ত দেশ সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম শেনজেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রধান ভাষা সুইডিশ হলেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলেন। পড়াশোনাসহ নিত্য জীবনযাত্রা এবং চাকরি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য সুইডেন।

আরও পড়ুনচীনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে আছে পড়ার শেষে চাকরি ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ২৬ আগস্ট ২০২৪

সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী পরিবেশগত দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশ সুইডেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই দেশটির দূষণ সূচক মাত্র ১৭ দশমিক ৭। এ ছাড়া বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভ্রমণবান্ধব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে এই নর্ডিক দেশটি।

পড়াশোনার জন্য সুইডেন যাত্রার আরও একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্টুডেন্ট নোবেল নাইটক্যাপ। এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের একাডেমিক সুপারস্টারদের সন্নিবেশ ঘটে। এই ভূখণ্ডে নোবেল পুরস্কারকে কেন্দ্র করে চলে নানা আয়োজন। বিশেষ করে স্টকহোমে পুরো একটি সপ্তাহ উদ্‌যাপন করা হয় নোবেলকে ঘিরে।

শত শত স্টার্টআপ কোম্পানির স্বর্গরাজ্য সুইডেনকে বলা হয় ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি। ক্যালিফোর্নিয়ার পর স্টকহোমই হচ্ছে দ্বিতীয় শহর, যেখানে সর্বাধিক সফল কোম্পানিগুলোর গোড়াপত্তন হয়েছে।

ইউরোপীয় দেশটির আরও যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে, তা হলো, কর্ম ও জীবনের মধ্যে এক আশ্চর্য ভারসাম্য। এখানে প্রতিটি চাকরিতেই রয়েছে যথেষ্ট শিথিলতা। প্রয়োজন অনুযায়ী শিফটিং এবং প্যাটার্নিটি বা ম্যাটার্নিটি লিভসহ বিভিন্ন উপলক্ষে সাময়িক ছুটির নীতি। এখানে মূলত কর্মীদের সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা পাওয়ার জন্য তাদের চাপমুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুরো দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ কর্মচারী খুব দীর্ঘ সময় ধরে বা ওভারটাইম কাজ করে।

সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো: কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, লুন্ড ইউনিভার্সিটি, উপসালা ইউনিভার্সিটি, স্টকহোম ইউনিভার্সিটি, চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ, ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, লিনকোপিং ইউনিভার্সিটি, উমিয়া ইউনিভার্সিটি ও হাল্মস্ট্যাড ইউনিভার্সিটি।

সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো: প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও তথ্য, লাইফ সায়েন্সেস অ্যান্ড মেডিসিন, ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেকচার।

আবেদনের উপায়-

সাধারণত ফল ও স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তির কার্যক্রম চালু করে সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ফল সেমিস্টার আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়। এই মৌসুমে আবেদনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রোগ্রাম চালু থাকে। আবেদন গ্রহণ অব্যাহত থাকে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে যে প্রোগ্রামগুলো বাদ পড়ে যায়, সেগুলোয় ভর্তির আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং সেমিস্টারে। এ মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলে পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত।

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামার সেমিস্টারেও ভর্তি নেওয়া হয়। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথমে বিষয় পছন্দ করে তার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা। তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের ব্যাপারে ফল সেমিস্টারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কেননা আবেদনের জন্য যথেষ্ট বিকল্প কোর্স পাওয়ার সুযোগ তো আছেই! তা ছাড়া এ সময়ে আবেদন করা হলে অধ্যয়ন ফি প্রদান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রেরণ, রেসিডেন্স পার্মিটের আবেদন এবং আবাসন খোঁজার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যেকোনো প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য একটি সাধারণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (universityadmissions.se) মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামগুলোকে নির্বাচন করে সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আবেদনপ্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো জেনে নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার জন্য চীনে যেতে চান, জেনে রাখুন কিছু বিষয়২৪ অক্টোবর ২০২৩

আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-

স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন করলে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ

স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ৪ বা অনার্সসহ ৩ বছরের স্নাতক ডিগ্রির সনদ

ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর: আইইএলটিএস (একাডেমিক) মোট স্কোর ৬ দশমিক ৫ (কোনো বিভাগে ৫ দশমিক ৫-এর কম পাওয়া যাবে না) টোয়েফল ইন্টারনেটভিত্তিক স্কোর ২০ (০ থেকে ৩০ স্কেলে) এবং মোট স্কোর ৯০। শিক্ষার্থীর স্নাতকের ৪ বছর ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলে অথবা উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকলে আলাদা করে আইইএলটিএস বা টোয়েফলের দরকার হবে না। এ ক্ষেত্রে মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন বা এমওআই প্রদর্শন করতে হবে।

একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট

সিভি বা পোর্টফোলিও

স্টেটমেন্ট অব পার্পাস

লেটার অব মোটিভেশন

লেটার অব রিকমেন্ডেশন

আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ: ৯০০ ক্রোনা বা ১০ হাজার ৫৫৭ টাকা (১ সুইডিশ ক্রোনা = ১১ দশমিক ৭৩ বাংলাদেশি টাকা)

প্রথম আলো ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ