পারিবারিক কলহের জেরে ঢাকার তুরাগে রিজিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ‍উঠছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। 

বুধবার (৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রিজিয়াকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, “আগুনে রিজিয়ার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

রিজিয়া বেগম পরিাবর নিয়ে তুরাগের দিয়াবাড়ি গোলচত্বর নার্সারির পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি ফুটপাতে ফুল বিক্রি করেন।

রিজিয়া বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী রাশেদুল ইসলাম। 

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “রাতে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি তার গায়ে আগুন জ্বলছে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।”

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে টাকা-স্বর্ণ লুটে নিল ডাকাত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে ডাকাতরা। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা-দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, ডাকাতরা মরদেহের গলা ও কানে স্বর্ণালংকারের খোঁজ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মিরপুরের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন (৫০)। তিনি উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের সুধিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী। স্বজনরা রাতেই আয়েশার মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরছিলেন।

অ্যাম্বুলেন্সটি কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কের মাঠসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে ডাকাত দলের কবলে পড়ে। ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা চালক ও আয়েশার স্বজনদের মারধর শুরু করে। সবার কাছ থেকে তারা ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও এক নারীর কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ভাষ্য, ডাকাতরা আয়েশার কান ও গলায় স্বর্ণালংকারের খোঁজ করে। 

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, তারা লিখিত অভিযোগ পাননি। তবুও বিষয়টি তদন্তে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এ ডাকাতিতে যারা জড়িত, তাদের আটকে অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ