বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। ট্রাইব্যুনালের সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আজ বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগ থেকে তাঁদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

এ ছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রশান্তি আসবে না: হাসিনুর রহমান

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর শুকরিয়া, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রশান্তি আসবে না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। রায় প্রকাশের আগে থেকেই হাইকোর্টের মাজার ফটকে ‘মঞ্চ ২৪’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান৷

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রকাশের পর বেলা তিনটার দিকে প্রতিক্রিয়া জানান হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা নেই। সেই আয়নাঘর, চাকরিরত অবস্থায় গুম ও জেলখানায় নির্যাতন আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রশান্তি আসবে না। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ১ হাজার ৪০০ মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে। ...দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘যোগ্য ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে হাসিনুর রহমান বলেন, আইনি সহায়তার মাধ্যমে তিনি বিদেশ থেকে হাসিনাকে আনতে পারবেন। শেখ হাসিনাকে আনতে ভারতীয় জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। ভারতীয় জনগণ, পশ্চিম বাংলার লোকেরা ইনশা আল্লাহ সহায়তা করবে।

একই সময়ে হাইকোর্টের মাজার ফটকের সামনে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেন। তাঁরা ‘এই মুহূর্তে রায় এল, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’, ‘হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ এমন স্লোগান দেন। এতে নেতৃত্ব দেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রশান্তি আসবে না: হাসিনুর রহমান