তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। বেশ কিছু অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে মাসজুড়ে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হচ্ছে ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শিরোনামে সেমিনার এবং ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সেমিনারের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে লাখো তরুণের সমাবেশ করে চমক দেখাতে চায় বিএনপি। এ জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সমাবেশে আয়োজক অঙ্গ সংগঠনগুলোর এ কর্মসূচি সফল করতে কাজ করেছে বিএনপিও।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনিয়োগ আনতে হলে দেশে নির্বাচিত ও স্থিতিশীল সরকার থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে থেকে বিনিয়োগ আনতে হলে আগে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সেটা তখনই সম্ভব, যখন একটি প্রকৃত অর্থে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার থাকবে। আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় দিয়েছি, কিন্তু এখনও দেশে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার আসেনি। বিনিয়োগ আনতে হলে  নির্বাচিত, স্থিতিশীল সরকার থাকতে হবে। তখনই বিনিয়োগকারীরা সরকারের মানসিকতা, 
দায়বদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেখে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বিনিয়োগ নিয়ে দেশে অনেক সার্কাস দেখতে পাচ্ছি।  যারা বিনিয়োগ বোঝে, তারা জানে– এই সার্কাসের মাধ্যমে বিনিয়োগ হবে না। যতদিন পর্যন্ত একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন বিনিয়োগ হবে না। সেটা হোক দেশের ভেতরে, না বাইরে।’ এ সময় তিনি বিনিয়োগ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান বা শিল্পায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন। আগামী দিনে তাদের দল সরকারে এলে ১৮ মাসে এক কোটি চাকরির ব্যবস্থা করবে বলেও উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আগামী দিনে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্ট খাতে ব্যাক টু ব্যাক এলসির সুযোগ থাকায় তরুণরা উঠে আসার সুযোগ পাচ্ছে। আগামীতে অন্য যেসব খাত রয়েছে সেগুলোতেও এই সুযোগ দেওয়া হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনের উপস্থাপনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন টিভি টকশোর জনপ্রিয় আলোচক ডা.

জাহেদ উর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, স্টেট ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আকতার হোসেন খান, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ইউনিভার্সিটি অব ডালাস টেক্সাসের শিক্ষক শাফকাত রাব্বি, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ফাউন্ডার সাঈদ আল নোমান, কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইয়েদ আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউছুপ, যুক্তরাষ্ট্রের ওরাকলের সি. ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার মুনতাসীর মুনির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাহরিন আই খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ, যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন।

এদিকে তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে বৃহত্তর চারটি সাংগঠনিক বিভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে এসব বিভাগে এ ধরনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৩টি সাংগঠনিক জেলা। সমাবেশ সফল করতে এসব জেলায় চলেছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৪টি উপজেলা ও নগরীর ৪৩টি সাংগঠনিক জেলায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছসেবক দল পৃথকভাবে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি যৌথভাবেও প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। এ জন্য কয়েক দিন ধরে অবস্থান করে প্রস্তুতি কার্যক্রমে অংশ নেন বিএনপির এসব অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। 
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না সমকালকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ হবে তরুণদের মিলনমেলা। তরুণরা ছাড়াও সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। সমাবেশে তরুণদের নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে পরিকল্পনা, তা দলের পক্ষ থেকে সিনিয়র নেতারা তুলে ধরবেন।’ 
এদিকে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচি সফলে বড় ধরনের সহযোগিতা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। চট্টগ্রামে সমাবেশ হওয়ার কারণে কর্মসূচি সফলে বাড়তি চাপে ছিল বিএনপি। ফলে আলাদাভাবে নিজেরাই প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন নগর বিএনপি নেতারা।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান সমকালকে বলেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। ভোটারদের বড় একটি অংশ তরুণ। অনেকের তারুণ্য পেরিয়ে গেলেও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ 
সরকার ভোটের নামে প্রহসন করায় তারা ভোট দিতে পারেননি। এবার ভোট দেওয়ার জন্য 
মুখিয়ে আছেন তারা। বিএনপি নেতাকর্মীও সমাবশে অংশ নেবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ইউন ভ র স ট র প রস ত ত ব এনপ র স গঠন সরক র নগর ব য বদল সহয গ রহম ন গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। এই নামাজের মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সাহায্য কামনা করে।

হাদিসে সালাতুল হাজতের ফজিলত ও নিয়ম বর্ণিত আছে, যা মুমিনের আল্লাহর ওপর ভরসাকে দৃঢ় করে।

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা সাধারণত দুই রাকাত আদায় করা হয়। তবে ইচ্ছা হলে চার বা ততোধিক রাকাতও পড়া যায়। নামাজের নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:

১. অজু করা

সালাতুল হাজত নামাজের জন্য পূর্ণ পবিত্রতা প্রয়োজন। তাই প্রথমে অজু করতে হবে। অজুর ফরজ চারটি: মুখমণ্ডল ধোয়া, দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া, মাথায় মসেহ করা এবং দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। এ ছাড়া সুন্নত অনুযায়ী অজু করা উত্তম, যেমন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, কুলি করা, নাকের ভেতরে পানি দেওয়া ইত্যাদি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৫)

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হয়।

২. নিয়ত করা

নামাজ শুরু করার আগে মনে মনে সালাতুল হাজতের নিয়ত করতে হবে। নিয়তের উদাহরণ: ‘আমি দুই রাকাত সালাতুল হাজত নফল নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করছি, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে।’

নিয়ত মনে মনে করা যথেষ্ট, মুখে বলা জরুরি নয়। (সাইয়্যিদ সাবিক, ফিকহুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা: ১৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৮)

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫

৩. দুই রাকাত নামাজ আদায়

প্রথম রাকাত: তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা। সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সুরা পড়া, যেমন সুরা ইখলাস। তারপর রুকু, সিজদা ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করে প্রথম রাকাত সম্পন্ন করা।

দ্বিতীয় রাকাত: একইভাবে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়া, রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।

এই নামাজ সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হবে, তবে খুশুখুজু (মনোযোগ) বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

৪. নামাজের পর দোয়া

নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পড়ে নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির আল্লাহর কাছে কোনো প্রয়োজন বা মানুষের কাছে কোনো দরকার থাকে, সে যেন অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তারপর আল্লাহর প্রশংসা করে, নবীর ওপর দরুদ পড়ে এবং এই দোয়া পড়ে:

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক, ওয়া আজাইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিরর, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসম। লা তাদা লি জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু।’

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি সহনশীল ও দয়ালু। পবিত্র মহান আরশের প্রভু আল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্য। আমি তোমার কাছে তোমার রহমতের কারণ, ক্ষমার দৃঢ়তা, প্রতিটি পুণ্যের লাভ এবং সব পাপ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করি। আমার কোনো গুনাহ রেখো না, যা তুমি ক্ষমা করোনি এবং কোনো দুশ্চিন্তা রেখো না, যা তুমি দূর করোনি।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস:: ৪৭৮)

৫. অতিরিক্ত দোয়া

ওপরের দোয়ার পর নিজের প্রয়োজন বা দরকারের জন্য নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা। দোয়া করার সময় আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা এবং ধৈর্যের সঙ্গে ফলাফলের অপেক্ষা করা।

আরও পড়ুননামাজ আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির একটি ধাপ১৭ জুলাই ২০২৫সালাতুল হাজতের সময়

সালাতুল হাজত নির্দিষ্ট কোনো সময়ের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। এটি যেকোনো সময় আদায় করা যায়, তবে নিষিদ্ধ সময় (যেমন সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা ঠিক মধ্যাহ্নে) এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোত্তম সময় হলো:

রাতের শেষ প্রহর (তাহাজ্জুদের সময়)।

ফজর বা মাগরিব নামাজের পর।

জুমার দিনে, বিশেষ করে আসর ও মাগরিবের মাঝে। (মুহাম্মদ ইবনে সালিহ, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, পৃষ্ঠা: ১৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৫)

সালাতুল হাজতের ফজিলত

সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সালাতুল হাজত পড়ে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

এই নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানসিক শান্তি ও ইমানের দৃঢ়তা বাড়ায়।

সতর্কতা

নিষিদ্ধ সময় এড়ানো: সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মধ্যাহ্নে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা।

খুশুখুজু: নামাজ ও দোয়ায় মনোযোগ বজায় রাখা, যাতে ইবাদত পূর্ণতা পায়।

হারাম প্রয়োজনে না: সালাতুল হাজত শুধু জায়েজ ও হালাল প্রয়োজনের জন্য পড়তে হবে।

ধৈর্য: দোয়ার ফলাফলের জন্য ধৈর্য ধরা, কারণ আল্লাহ সর্বোত্তম সময়ে প্রয়োজন পূরণ করেন। (ইবনে হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি, ২/৪৮০, দারুল মা’রিফা: ১৯৮৯)

সালাতুল হাজত নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি অসাধারণ মাধ্যম। এটি দুই রাকাত নফল নামাজ, যার পর নির্দিষ্ট দোয়া ও নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করা হয়। জীবনে ব্যস্ততার মাঝেও এই নামাজ সহজেই আদায় করা যায়।

আরও পড়ুনজীবনকে ছন্দে ফেরাবে ‘ধীর নামাজ’২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ