আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেন তাঁরা।

পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে হাইওয়ে ও থানা-পুলিশের অনুরোধে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। এ অবরোধের কারণে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদর থেকে উভয় দিকে অন্তত ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

এর আগে দুপুরে জুমার নামাজ শেষে একই এলাকায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

তখনো মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়ে গরমের মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.

জাহাঙ্গীর আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। এরপর তাঁরা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। মহাসড়কে তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের অনুরোধে মহাসড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে উভয় দিকে অন্তত ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এ যানজট নিরসনের কাজ শুরু করে। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ যাত্রী ও চালকেরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবি সন্ত্রাসীদের

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রশাসনিক-একাডেমিক ভবনের কাজে চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে এ দুটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা প্রশাসনিক ভবন ও ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভবন দুটির নির্মাণ চলছে। উভয় ভবনের নির্মাণকাজ পেয়েছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমই-আরবিজেবি। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ঢুকে ঠিকাদারের কর্মচারীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরে সন্ত্রাসীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা টিনশেডের ঘরে ঢুকে তাদের ১০ থেকে ১২টি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার আগে চাঁদা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধের হুমকি দেয়। চাঁদা না দিয়ে কাজ চলমান রাখলে পরবর্তী সময়ে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ছয় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সাত সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক ধরে হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকছে। তাদের মধ্যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে চেয়ারে বসা নিরাপত্তা প্রহরী অস্ত্রধারীদের দেখে উঠে দাঁড়ান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। অস্ত্রধারীরা শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে কয়েক মিনিট অবস্থান করার পর একই পথে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে দুইবার চাঁদা দাবি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মীর হোসেন জানান, চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের কাউকেই চিনতে পারিনি। এরা কোনো দলের কিনা জানি না। 

কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আতিয়ার রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এর আগে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় কারা চাঁদা চাইতে এসেছিল জানা যায়নি। তবে এবার কারা এসেছে আমরা জানতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ