অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিএনপি সরকারের সময় কিছু কিছু এনজিও গণগ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বিএনপির দাবি অনুসারে বিগত সরকারের আমলে ৬০ লাখ গায়েবি মামলা হয়েছে। এর ৯৯ শতাংশই বাদী পুলিশ। এখনও গায়েবি মামলা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি ও বিদেশে অবস্থানরতদেরও আসামি করা হচ্ছে। কিছু কিছু বিএনপির নাম দিয়ে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এ মামলাগুলো হচ্ছে। এখন এনজিওগুলো কথা বলছে না কেন– প্রশ্ন রাখেন তিনি।

আজ রোববার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত পিআইএল পর্যালোচনা কর্মশালায় এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, গত ৯ মাসে পুলিশ একটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করেনি। কয়েক বছর ধরে যে গুমের সংস্কৃতি ছিল, বর্তমান সরকার আসার পর একটিও গুমের ঘটনা ঘটেনি।

দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেক এনজিও এবং এনজিও ব্যক্তিত্ব আছেন, তারা কথা বলেন; কিন্তু সোচ্চার হন না। সুতরাং এ সমাজ পরিবর্তনের জন্য যে দায়বদ্ধতা প্রয়োজন, তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

শুক্রবার শুরু হওয়া এ কর্মশালায় আজ সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিচারপতি আয়নুন নাহার সিদ্দিকা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও বেলার প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তাসলিমা ইসলাম। এ কর্মশালার আয়োজন করে বেলা ও এএলআরডি।

১০৬৮টি সংখ্যালঘুর ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
গত ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত হামলার শিকার হয়েছে এক হাজার ৬৮টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসবের মধ্যে ৫০৬টি স্থাপনার মালিক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৯টি জেলায় আক্রমণ হয়েছে এবং ৩ জেলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হয়েছে। নিহত হয়েছেন দু’জন সংখ্যালঘু।

কর্মশালায় এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজীর উপস্থাপন করা প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কর্মশালায় সরকারি আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কক স ব জ র আস ম সরক র এনজ ও

এছাড়াও পড়ুন:

জনবল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি দুই ভূমি অফিস

লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে বিল এলাকা। সেখানে যাতায়াতের নেই কোনো সড়ক। খুলনার ডুমুরিয়ায় সেই জনহীন বিলেই নির্মিত হয়েছে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস।  তবে উপজেলার মাগুরাঘোনায় নির্মিত ভূমি অফিসটি লোকালয়ের আশপাশেই। লোকবল সংকটের কারণে ভূমি অফিস দুটি নির্মাণের চার বছর পার হলেও এখনও তা চালু করা হয়নি। এতে ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। আর সরকারি জমিতে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়। ১ কোটি ২০ লাখ (একটি প্যাকেজে) টাকা ব্যয়ে দুটি  সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করা হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ভবন দুটিতে নামজারি বা মিউটিশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি জমির তত্ত্বাবধান, ভূমি-সংক্রান্ত তদন্ত, তপশিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার।
গুটুদিয়া ইউপির বিলপাবলা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মনিলাল বিশ্বাস জানান, জনবিরান বিল এলাকায় ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে, যার আশপাশে লোকালয় নেই। রয়েছে মৎস্য ঘের, ধানের জমি আর নির্জন বাগান। সেখানে বসতি গড়ে উঠতে অনেক বছর সময় লাগবে। 
নতুন ভূমি অফিসে সেবা গ্রহণে ইউনিয়নের মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে জানিয়ে উত্তর বিলপাবলা গ্রামের কৃষক সজল মণ্ডল বলেন, নতুন ভূমি অফিসে প্রবেশে রাস্তাও নির্মাণ করা হয়নি। কেউ কোনো ধরনের গাড়ি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অফিসটি চালু হলে সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হবে। 
মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কার্যক্রম শিগগির শুরু না হলে এর জমি অন্যের দখলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাগুরাঘোনা গ্রামের আবুল হাসান বলেন, মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বিলের ভেতরে। সম্প্রতি সেখানে রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা হয়েছে। জনবল না থাকায় ভূমি অফিসের জমি অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছে। 
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভূমি অফিসের দুটি ভবন নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। কিন্তু এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে দুই ইউনিয়নের মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 
ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান বলেন, ভূমি অফিস দুটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য চেষ্টা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 
ভূমি অফিস চালু না হওয়ায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিস্ট কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিযান এখনও চলছে: ভারতীয় বিমানবাহিনী
  • কীভাবে বুকের এই কষ্ট চেপে রাখব: পূজা চেরি
  • অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও, এখনও রেড অ্যালার্ট জারি
  • ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের
  • আমি জানি, তুমি আমাকে দেখছ
  • চীন সফরের সে দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে: খুরশীদ আলম
  • তারেক রহমানের দেশ ফিরতে বাধা কোথায় জাতি জানতে চায়: গয়েশ্বর 
  • হিলি বাজারে উঠেছে অপরিপক্ক লিচু, কিনছেন অনেকেই 
  • জনবল সংকটে চার বছরেও চালু হয়নি দুই ভূমি অফিস