আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জোরেশোরে প্রচারণায় নেমেছে ‘ইনসাফ’ টিম। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমাটির তিন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের ফার্স্ট লুক পোস্টার। রবিবার সন্ধায় উন্মুক্ত হয়েছে সিনেমাটির তৃতীয় পোস্টার, যেখানে তাসনিয়া ফারিণকেও দেখা গেছে ভিন্ন লুকে।

ফুল ও কুঠার হাতে ধরা দেন ‘ইনসাফে’র নায়িকা। অভিনেত্রীকে নতুন রূপে দেখে নেটিজেনরা প্রশংসা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে যে, পোস্টারটি অন্য এক সিনেমার পোস্টারের নকল। দেখা গেছে, কোরিয়ান সিনেমা ‘কিল বকসুনে’র একটি পোস্টারের সঙ্গে ফারিণের পোস্টারের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। এরপর সোশ্যালে তা নিয়ে নকলের অভিযোগ তোলেন একাধিক দর্শক।

নকলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিনেমাটির নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার জানান, পুরো ব্যাপারটি ঘটেছে অসাবধানতাবশত। এটাকে নিজেদের ভুল হিসেবেই মানছেন তিনি।

সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘আমাদের লুক রিভিলগুলোতে সিম্বল হিসেবে কুড়াল একটা কমন ফ্যাক্টর ছিল। আমি ডিজাইনারকে বলেছিলাম যে তাসনিয়া ফারিণের হাতে ফুল ও কুড়াল দিয়ে কিছু প্ল্যান করতে। এভাবেই আমরা এগোই। কিন্তু এটা যে কোনো সিনেমার কোনো পোস্টারের সঙ্গে মিলে যাবে জানলে তা অবশ্যই এড়িয়ে যেতাম। এটা অসাবধানতাবশত হয়েছে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরো সতর্ক থাকব।’

এর আগে ৪ মে চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, পোশাকে রক্তের ছিটেফোঁটা, হাতে কুড়াল, ঘাড়ে ঝুলানো থেটোস্কোপ নিয়ে ভয়ঙ্কার লুকে হাজির হন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এমন ভয়ংকর চরিত্রে মোশাররফ করিমকে আগে দেখা যায়নি কখনও। দ্বিতীয় পোস্টার প্রকাশ করে বলা হয়, ‘এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ!’

নির্মাতা জানান, অ্যাকশন থ্রিলার গল্পের সিনেমা ‘ইনসাফ’। এতে দানবীয় ও ভয়ংকর রূপে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। পোস্টার উন্মোচন যেন সেটারই আভাস দিল। ‘ইনসাফ’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে আছেন শরীফুল রাজ। ধুন্ধুমার অ্যাকশন অবতারে এতে রাজকে উপস্থাপন করা হবে। সিনেমায় শরীফুল রাজের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন তাসনিয়া ফারিণ। আর এ সিনেমার মাধ্যমেই ঢাকার চলচ্চিত্রের পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তার।

গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয় ফার্স্ট লুক পোস্টার। হাতে রক্তাক্ত কুড়াল, ঠোঁটে মুচকি হাসি, চেহারায় রক্তের দাগ নিয়ে হাজির করা হয় রাজকে। পোস্টারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘ইনসাফ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি জীবনবোধ!’

গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছে ইনসাফের শুটিং। এখন চলছে শেষ অংশের কাজ। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে ‘ইনসাফ’। বাংলাদেশে প্রথম হলেও ইনসাফ সঞ্জয় সমদ্দারের দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে জিৎকে নিয়ে টালিউডে ‘মানুষ’ নামের সিনেমা বানিয়েছিলেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভোটার তালিকা সংশোধন এনআরসি থেকেও ভয়ংকর, সতর্কবার্তা মমতার

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার সংশোধন হতে পারে এনআরসির পরিকল্পনা কিংবা এনআরসির থেকেও ভয়ংকর- এমন মন্তব্য করে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়েছে। অবৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি 'ডিক্লারেশন ফর্ম'। জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও। যার বেশ কিছু নিয়মাবলি নিয়ে আপত্তি তুলে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার দাবি, কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকা বিহার ভোটের আগে প্রকাশ করা হলেও এর আসল উদ্দেশ্য বাংলার বিধানসভা ভোট। ২০২৬ সালে বাংলায় নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটকে নিশানা করেই এই নির্দেশিকা পালন করা হয়েছে। এমনকি, নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন প্রজন্মকে, গ্রামের মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এটা এনআরসির পরিকল্পনা হতে পারে। এনআরসির চেয়েও ভয়ংকর। মানুষকে বলব সতর্ক হন। শেষ দিন পর্যন্ত দেখুন আপনার নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না। এই নির্দেশিকাতে আরও অনেক দুর্নীতি আছে।’

তিনি বলেন,‘ভোটার তালিকা সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে কমিশন একটা ফর্ম পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই ডিক্লারেশন ফর্মের কয়েকটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?’

তার দাবি, নির্বাচন কমিশন তাকে ২টি চিঠি পাঠিয়েছে। তা প্রাথমিকভাবে দেখতে গিয়ে ১৮ ও ১৯ পাতার নির্দেশিকায় তার চোখে পড়েছে যে ওই ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণের সময় বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেটও দিতে হবে। তা কোথা থেকে পাবেন সবাই? এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এ প্রসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।’

উল্লেখ্য, অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে ২২ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভিনদেশী নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিতেই কমিশনের এই পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে। নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। জন্মের প্রমাণপত্র সঠিকভাবে দাখিল করতে না পারলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ