রাজধানীতে এক দিনে তাপমাত্রা কমল ৮ ডিগ্রির বেশি, স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে
Published: 12th, May 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে আজ সোমবার। খুলনা বিভাগ বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সব এলাকাতেই এভাবে তাপমাত্রা কমেছে। রাজধানীতেও আজ তাপমাত্রা কমেছে ৮ ডিগ্রির বেশি।
যেসব এলাকায় এভাবে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যায় সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের দিকে এ সময় বিশেষ নজর দিতে হবে।
গত বুধবার (৭ মে) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তাপপ্রবাহ। গত শুক্রবার দেশের অনেক স্থানে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। পরদিন শনিবার দেশের ৬২ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি বছর দেশের এত এলাকায় তাপপ্রবাহ হয়নি। দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি।
এর মধ্যে গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন তাপপ্রবাহের এলাকায়ও আজ তাপমাত্রা কমেছে। যেমন গতকাল উত্তরের জেলা রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেখানে তাপমাত্রা হয়েছে ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
টানা পাঁচ দিন তাপপ্রবাহের পর গতকাল দুপুরের পর থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরই তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। রাজধানীতে গতকাল সামান্য বৃষ্টি হয়। আজ কয়েক দফায় মেঘ থাকলেও রাজধানীতে বৃষ্টি হয়।
এভাবে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক প্রভাব আছে বলে মনে করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং বিশিষ্ট মেডিসিন–বিশেষজ্ঞ ডা. টিটো মিঞা। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে হঠাৎ তাপ কমে যাওয়াটা বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ঝুঁকির। যাঁরা অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসহ শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে। তাপমাত্রার বড় পরিবর্তনে এসব সমস্যা হয়। এ সময় তাপমাত্রার এই হ্রাস–বৃদ্ধিতে জ্বরের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আবার ভাইরাসবাহিত রোগগুলোরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ সময় তাহলে করণীয় কী—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক টিটো মিঞা বলেন, পরিবর্তিত তাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এসি থাকলে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা বা বন্ধ রাখতে হবে। মোদ্দাকথা হলো সাবধানে থাকতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স এল ক য় গতক ল দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে একাংশের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকার পরিষদ যৌথভাবে ঘোষিত প্যানেলকে কেন্দ্র করে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। ঘোষিত প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামের সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ
এ সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শাখা ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল ঘোষণার পরই ১৮তম ব্যাচের ৩০–৩৫ জনের একটি গ্রুপ স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আঠারো আঠারো’, ‘গর্জে উঠো আঠারো’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঠারো’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্যানেল ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
তাদের অভিযোগ, ঘোষিত প্যানেলটি ছাত্রদলের প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে ‘ভাড়াটিয়া’ দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিক্ষোভরত নেতাকর্মীরা দাবি করেন, জকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে যদি ১৮ ব্যাচের কেউ স্থান পায়, তাহলে তাকে অবশ্যই ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হতে হবে এবং ব্যাচটি থেকে পাঁচজনকে স্থান দিতে হবে। অন্যথায় প্যানেল ঘোষণা হওয়ার আগে প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর সাংগঠনিক পরিচয় স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
এসব দাবি না মানা হলে ‘ঐক্যবদ্ধ ১৮ ব্যাচ’ নামে আলাদা এক্সক্লুসিভ প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে ঘোষিত সমন্বিত প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব (সহ-সভাপতি), শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাদিজাতুল কুবরা (সাধারণ সম্পাদক) এবং আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল (সহ-সাধারণ সম্পাদক)।
প্যানেলের অন্যান্য সম্পাদক পদে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক মো. আনন বিন রহমান এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক রিয়াসাল রাকিব।
নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরও একজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরে জানানো হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী