পটুয়াখালী জেলা সুহৃদ সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সুহৃদদের অংশগ্রহণে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী দুই বছরের জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে জেলা কমিটি গঠিত হবে। কমিটি গ্রহণযোগ্য করার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। মতামত নেওয়া হয় জেলা সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের। সমকালের জেলা প্রতিনিধি ও জেলা সুহৃদ সমন্বয়ক মুফতী সালাহউদ্দিন এবং উপদেষ্টা গাজী হানিফের ওপর এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সুহৃদদের মতামত গ্রহণ করেন।
জেলা সুহৃদ সমাবেশের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হক মেবিন, বর্তমান আহ্বায়ক পলাশ চন্দ্র হাওলাদার, যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদা আক্তার রিমি ও ঐশী রায়, সদস্য সচিব সাইয়ারা আফিয়া ঝুমুর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবিনা রুবি, সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো.
সভায় এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
সুহৃদ পটুয়াখালী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১১ বছর পর মানিব্যাগ পাওয়া গেল বহুদূরে মিনেসোটায়
যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত গাড়ি নির্মাতা শ্রমিক রিচার্ড গিলফোর্ড এক মধ্যরাতে ফেসবুকে অচেনা এক ব্যক্তির খুদে বার্তা পেয়ে অবাক হয়ে যান। বার্তায় লেখা ছিল, ‘আপনি কি কয়েক বছর আগে আপনার মানিব্যাগ হারিয়েছেন? এটি একটি গাড়ির ইঞ্জিনে ছিল।’
রিচার্ডের কাছে এই খবর একেবারেই অবিশ্বাস্য ছিল। কারণ, প্রায় ১১ বছর আগে মিশিগানে মানিব্যাগটি হারিয়েছিলেন তিনি। এত বছর পর সেটি উদ্ধার হলো মিনিসোটার লেক ক্রিস্টালের একটি গাড়ি মেরামতের দোকানে। গত জুন মাসে গাড়ি মেরামতকারী চ্যাড ভল্ক এটি খুঁজে পেয়ে রিচার্ডকে ফেসবুকে বার্তা পাঠান।
মানিব্যাগটিতে ছিল ১৫ ডলার, ড্রাইভার লাইসেন্স, কর্মপরিচয়পত্র, ২৭৫ ডলারের গিফট কার্ড এবং একটি লটারি টিকিট।
বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের একটি কারখানায় কাজ করতেন রিচার্ড। ২০১৪ সালে বড়দিনে ওই কারখানায় কাজ করার সময় তাঁর মানিব্যাগটি শার্টের পকেট থেকে পড়ে যায়। সে সময় তিনি কারখানায় থাকা ৩০ থেকে ৪০টি গাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মানিব্যাগটি পাননি। পরে হাল ছেড়ে দেন।
এখন রিচার্ড গিলফোর্ডের বয়স ৫৬ বছর। ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষে ২০২৪ সালে তিনি অবসর নেন। মানিব্যাগটির কথা তিনি অনেক বছর আগেই ভুলে গিয়েছিলেন। চ্যাড ভল্কের বার্তা পাওয়ার পর সেটির কথা আবার মনে পড়ে তাঁর। চ্যাড তাঁকে মানিব্যাগ এবং রিচার্ডের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাঠান। ওই লাইসেন্সে নিজের কম বয়সের ছবি দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন রিচার্ড।
চ্যাড ভল্ক জানান, ২০১৫ সালের ফোর্ড এজ সিরিজের একটি গাড়ির ইঞ্জিন বে-তে ট্রান্সমিশন ও এয়ার ফিল্টার বক্সের মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় মানিব্যাগটি খুঁজে পান তিনি। তখন পর্যন্ত গাড়িটি ১ লাখ ৫১ হাজার মাইল চলেছে। চ্যাড বলেন, ‘গাড়িটি মেরামতের পর ফিল্টার বক্স ঠিকমতো বসছিল না। পরে আমি দেখতে পাই, সেখানে একটি মানিব্যাগ পড়ে আছে।
রিচার্ড বলেন, ‘এত বছর ধরে মানিব্যাগটি ঠিক আছে। এটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। তিনি আরও বলেন, মানিব্যাগে যা যা ছিল, সবকিছু সেভাবেই রেখে দেব। এটি আমাদের ঘরের ক্যাবিনেটে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। আমার সন্তানেরা ভবিষ্যতে এটির গল্প তাদের সন্তানদের বলবে।’