নয় জেলার কিছু স্থানে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
Published: 14th, May 2025 GMT
আজ বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে দেশের নয় জেলার কিছু স্থানে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় এসব স্থানে বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে। বজ্রপাত চলার সময় ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
যে নয় জেলায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে তার মধ্যে আছে গাজীপুর, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এসব জেলার কিছু স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে পুনরায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আজকের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বার্তাও দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের সময় বিশেষ করে ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ শব্দের সময় থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রাণহানির ঝুঁকি কমানো যায়।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, ফলে এই সতর্কতা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে গাছপালা ও দুর্বল স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় যারা ঘরের বাইরে কাজ করেন, বিশেষ করে কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক ও খোলা মাঠে কাজ করেন—তাদের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত সতর্কতার।
সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনগণকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটিগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানে নিহত সেনাসদস্যের সংখ্যা বেড়ে ১৩: আইএসপিআর
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তানে নিহত সেনাসদস্যের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন হয়েছে। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ সেনাসদস্যের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জন হয়েছে।
আইএসপিআর বলেছে, ‘২০২৫ সালের ৬ থেকে ৭ মে রাতের মধ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যে নির্লজ্জ ও কাপুরুষোচিত আগ্রাসন চালায়, তাতে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিক লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।’ সংস্থাটি আরও জানায়, ভারত সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের ছয়টি ভিন্ন স্থানে এই আগ্রাসন চালায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলেছে, ‘মাতৃভূমি রক্ষায় অতুলনীয় সাহস ও অটল প্রত্যয়ে লড়াই করতে গিয়ে বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই বীর সন্তান শাহাদত বরণ করেছেন। এর ফলে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মোট শহীদ সদস্যের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়াল।’
সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আরও জানায়, ‘দায়িত্ব পালনের সময় এখন পর্যন্ত ৭৮ জন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরও জানায়, ‘আজ যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাবিলদার মোহাম্মদ নবীদ শহীদ এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ আয়াজ শহীদ।’
তাঁদের মহৎ আত্মত্যাগ, সাহস ও কর্তব্যপরায়ণতা অটল দেশপ্রেমের চিরন্তন সাক্ষ্য হয়ে থাকবে উল্লেখ করে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতির সম্মিলিত স্মৃতিতে এই আত্মবিসর্জন চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কারা১৩ মে ২০২৫