‘ভারতের স্কুলে যে সুবিধা, তা আমাদের জাতীয় দলেও নেই’
Published: 14th, May 2025 GMT
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির হোসেন আবার আলোচনায়। একসময় ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে সমান দক্ষতায় নজর কাড়া এই অলরাউন্ডার সম্প্রতি সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগের ফাইনালে অতিথি হয়ে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নাসির বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়, ভারতের একটা স্কুলে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, আমাদের জাতীয় দলে সেটিও নেই। সে অনুযায়ী বললে, বাংলাদেশ ভালো খেলে। তবে আরও ভালো খেলার সুযোগ ছিল, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আশা করি, দল সবসময় ভালো খেলবে এবং দেশের সুনাম বয়ে আনবে।’
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নাসির সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছেন। প্রায় দুই বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেললেও পুরোপুরি ছন্দ হারাননি। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৫ ম্যাচে করেছেন ২ হাজার ৬৯৫ রান, রয়েছে দুটি শতক ও ১৪টি অর্ধশতক। বল হাতে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।
জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন এখনো তাড়া করে নাসিরকে, ‘বাংলাদেশে সবই সম্ভব। সুযোগ-সুবিধা থাকলে অবশ্যই জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে। ইনশাআল্লাহ, সামনে প্রিমিয়ার লিগ ও ডিপিএল খেলবো। শুধু বললেই তো হবে না, পারফর্ম করে জায়গা নিতে হবে। সেই চেষ্টা করবো।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় দল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’