সুনামগঞ্জে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 14th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাধনপাড়া থেকে চম্পা বেগম (১৭) নামের এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ মে) সকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম নিক্কুর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, রেজাউল করিম নিক্কু ও তার ছেলে শুভর নির্যাতনে চম্পার মৃত্যু হয়েছে। নিহত চম্পা বেগম জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে রেজাউল করিম নিক্কুর বাসায় কাজে যোগ দেন চম্পা। কিন্তু, দেড় বছরের মাথায় তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এর কিছুদিন পর নিক্কু ফের চম্পাকে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন।
আরো পড়ুন:
স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত মেঘলার মৃত্যু, ২ শিশু আশঙ্কাজনক
বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারালেন ঢাবি ভিসি, ‘মার বেটা আমাকে, মার’
চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, ‘‘আমার মেয়ে প্রায় তিন বছর আগে ওই বাড়িতে কাজে যোগ দেয়। প্রথমে সে আমাদের কিছু বলেনি। কিছুদিন পরে জানায়, সেখানে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরে আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু, কয়েকদিন পর বাড়ির মালিক নিক্কুর অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। আজ শুনি আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই। আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করে মেরে ফেলছে। আমি বিচার চাই।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রেজাউল করিম নিক্কুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট