কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল আজিজ (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত আব্দুল আজিজ মথুরাপুর দরগাতলা এলাকার খিলাফত আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনলাইনে দুস্থ ভাতার জন্য আবেদন করা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মথুরাপুর কলেজ পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে পলাশের (২৮) সঙ্গে আকরামের ছেলে বিজয় ও তার বন্ধু আজিজের বিরোধ হয়। বুধবার রাতে বিজয় ও আজিজ মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে অবস্থানকালে পলাশ তাদের ওপর হামলা চালায়। পলাশ ছুরি দিয়ে আজিজের পেটে আঘাত করলে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

দৌলতপুর থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

নাজমুল হুদা বলেছেন, অনলাইনে দুস্থ ভাতার কার্ড করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আজিজের মরদেহ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ লতপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাস সংকট নিরসনের দাবিতে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

বাস সংকট নিরসনের দাবিতে আটদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অস্থায়ী ছাত্রাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন তারা। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাস সংকট নিরসন করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ইউজিসির অনুমতি না পাওয়ার অজুহাতে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে এখনো কোনো বাসের ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি, বাসে চড়েই ক্লাসে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের।

আরো পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী

বাঁচতে চান তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণী 

এতে একদিকে বাড়ছে সময় ও ব্যয়, অন্যদিকে হাফপাস নিয়ে প্রায়ই যানবাহন চালকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে হয় তাদের। অনেক সময় অপমানজনক আচরণেরও শিকার হন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা শুধু বাস চাচ্ছি না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাইছি। ক্লাসে পৌঁছাতে প্রতিদিন আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। অথচ পরিবহনের জন্য টাকা থাকলেও কর্তৃপক্ষ শুধু অনুমতির কথা বলে দায় এড়াচ্ছে। বাসের পাশাপাশি আমাদের মানসম্মত হল ও লাইব্রেরির ব্যবস্থাও করতে হবে৷ 

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাসের ব্যবস্থা করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর দায়ভার সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জাকারিয়া নাইম, জি এম তাইমুম, সুরভী চৌধুরী, সোহানুর রহমান ও তাকবিল হাসান৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিনহাজুল মিনাল, সাব্বির হোসেন, তনুশ্রী দেব, সুদিপ্তা চৌধুরী, আশরাফ হোসেন, লাবন্য মন্ডল, আদিবা জামান নাফি, আব্দুর রহমান নিশাদ, রুবাইয়া বর্ষা, তাসমিম অধরা,পূজা রয়, তাসনিম জাহান, সাফিন আহমেদ, নাহিয়ানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/মনোয়ার/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ