১আইখাল, রাশিয়া

রাশিয়ার সাখা অঞ্চলে আইখাল খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরার খনি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই খনিতে মজুতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ক্যারেট। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এটি ওপেন-পিট বা উন্মুক্ত খনি ছিল। এরপর এটিকে ভূগর্ভস্থ খনিতে রূপান্তর করা হয়।

আইখাল হীরার খনি থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লাখ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়। বিশ্বের অপরিশোধিত হীরার এক-তৃতীয়াংশ এখান থেকেই উত্তোলন করা হয়ে থাকে। রাশিয়ার আংশিক রাষ্ট্রায়ত্ত হীরা কোম্পানি আলরোসার অধীনস্থ আইখাল মাইনিং কোম্পানি এই খনি পরিচালনা করে।

২জোয়ানেং, বতসোয়ানা

বতসোয়ানার কালাহারি মরুভূমিতে জোয়ানেং খনির অবস্থান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার খনি। ডি বিয়ার্স ও বতসোয়ানা সরকারের যৌথ উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত ডেবসওয়ানা ডায়মন্ড কোম্পানি খনিটি পরিচালনা করে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুসারে, এ খনিতে হীরার সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ক্যারেট। বর্তমানে খনিটির ৪০০ মিটার গভীরে খননকাজ চলছে। ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এ খনি থেকে হীরা উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৩উদাচনি, রাশিয়া

উদাচনি খনির অবস্থান রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের সাখা রিপাবলিকে। রুশ ভাষায় ‘উদাচনি’র অর্থ ‘ভাগ্যবান’। আলরোসা কোম্পানি এ খনি পরিচালনা করে।

১৯৭১ সালে এ খনিতে হীরা উত্তোলন শুরু হয়। তখন এটি উন্মুক্ত খনি ছিল। বর্তমানে, খনিটি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে হীরা উত্তোলন করা হয়। এ খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ক্যারেট।

৪জুবিলি, রাশিয়া

জুবিলি খনির অবস্থানও রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের সাখা রিপাবলিকে। এটি উন্মুক্ত পদ্ধতির হীরার খনি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুসারে এই খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি ৩০ লাখ ক্যারেট। এর মধ্যে ৫ কোটি ১০ লাখ ক্যারেট হীরা ভূগর্ভে মজুত আছে।

১৯৮৬ সাল থেকে এটি আলরোসার আইখাল মাইনিং ও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হীরা কোম্পানি আলরোসার প্রসেসিং ডিভিশনের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২ সালে এ খনি থেকে প্রায় ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ক্যারেট হীরা উত্তোলন হয়।

৫নিউরবা, রাশিয়া

নিউরবা খনি রাশিয়ার সাখা অঞ্চলে অবস্থিত। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম হীরার খনি। এ খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে হীরা উত্তোলন করা হয়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসের হিসাব অনুসারে এ খনিতে মজুতের পরিমাণ ১৩ কোটি ৩০ লাখ ক্যারেট।

৬ওরাপা, বতসোয়ানা

বতসোয়ানার ফ্রান্সিসটাউন থেকে ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় ওরাপা খনির অবস্থান। ডি বিয়ার্স ও বতসোয়ানা সরকারের যৌথ মালিকানার কোম্পানি ডেবসওয়ানা এ খনি পরিচালনা করে থাকে। ১৯৭১ সাল থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে এখান থেকে হীরা উত্তোলন করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের হিসাব অনুসারে এ খনিতে সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২ সালে ওরাপা খনি থেকে প্রায় ৮ কোটি ৮৫ লাখ ক্যারেট হীরা উত্তোলন করা হয়েছে।

৭কাটোকা, অ্যাঙ্গোলাকাটোকা খনি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ স ব অন স র ২০১৮ স ল র উন ম ক ত পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবে আটকে আছে সড়ক সংস্কার কাজ

সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার উপজেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃউপজেলা সড়ক দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশল অফিস এ সড়কগুলো সংস্কারের জন্য শুধু প্রস্তাব পাঠিয়ে দায় সারছে। এর বাইরে কার্যত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় বিয়ানীবাজারসহ কয়েক উপজেলাবাসী নিত্য ভোগান্তিতে জর্জরিত।
সড়ক দুটির একটি বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়ক মাথিউরা-বাণিগ্রাম। অপর সড়কটি হচ্ছে বিয়ানীবাজার-জকিগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়কের জিরো পয়েন্ট-মইয়াখালি।
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এ দুই সড়ক পুনরায় ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সড়কগুলোর ইট-সুরকি উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। গর্ত, খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে বেহাল সড়ক দুটি। সংস্কারের জন্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বারবার দায়িত্বশীলদের কাছে ধরনা দিলেও তাদের দুর্দশা লাঘব হয়নি। যার ফলে প্রতিদিন চলাচলের পাশাপাশি রোগী পরিবহনেও বেগ পেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ সংযোগ সড়কের মাথিউরা থেকে বাণিগ্রাম পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২০২৪ সালের মে মাসে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। আরআইডি-২ প্রকল্পের আওতায় সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের মার্চে এসে আরআইডি-২ প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ সংযোগ সড়কের মাথিউরা থেকে বাণিগ্রাম পর্যন্ত সড়ক সংস্কার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
অপরদিকে বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের শেওলা জিরো পয়েন্ট থেকে মইয়াখালি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এ প্রস্তাব এখন গৃহীত হয়নি।
এ উপজেলার প্রবাসীরা প্রতি মাসে দুইশ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। অথচ উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ সড়কের ভঙ্গুর দশা দেখে তারা হতাশ। সম্প্রতি পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে আসা মাথিউরা খলাগ্রামের নিজাম উদ্দিন বলেন, পৌরশহরে অটোতে করে যাওয়ার উপায় নেই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু সড়কের এ অবস্থার কারণে ছেলেমেয়েরা দেশে আসতে চায় না। 
মাথিউরা-বাণিগ্রাম সড়কে চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে দায়িত্বশীলদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান মাথিউরা পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুর রব। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় সড়কের ওপর ৫ ফুটের বেশি পানি ছিল। সড়কজুড়ে গর্ত। বৃষ্টি হলে জমে থাকে কাদাপানি। একই এলাকার পংকি মিয়া বলেন, দুই বন্যায় এ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গোলাপগঞ্জ কিংবা সিলেট শহরে যেতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।
একই রকম ভোগান্তির কথা জানান চরিয়া, খাড়াভরা, মইয়াখালিসহ পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা। ভুক্তভোগী এলাকার মাছুম আহমদ বলেন, প্রায় পাঁচ বছর থেকে এ সড়কে ধুঁকছে এলাকাবাসী। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সড়ক সংস্কার বিষয়ে কোনো আশ্বাস পাচ্ছেন না। এই কয় বছরের মধ্যে সড়ক সংস্কার করার জন্য দায়িত্বশীলদের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই দুই সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দিপক কুমার দাস বলেন, মাথিউরা-বাণিগ্রাম পর্যন্ত সড়কের প্রস্তাব পাঠানো হলেও যে প্রকল্পের আওতায় এটি সংস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল সেই প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের সম্ভাবনা কম। জিরো পয়েন্ট-মইয়াখালি সড়ক সংস্কারের জন্য দুই মাস আগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন না পেলে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অর্থ থেকে  কাজ করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন করুন
  • ম্যারাডোনা না মেসি, স্কালোনির কাছে সর্বকালের সেরা যিনি
  • ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে মেয়র নির্বাচনে জয়ী
  • কোহলির অবসর নিয়ে বোমা ফাটালেন রঞ্জি কোচ, ‘সে ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল’
  • রাজশাহী নগরে বেড়ে চলেছে শব্দদূষণ, গাড়ির হর্নে নীরব এলাকাও ‘সরব’
  • একাত্তরে যারা জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল তারা অবস্থান ব্যাখ্যা করবে, আশা এনসিপির
  • একাত্তরের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে ঐক্যের আহ্বান এনসিপির 
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে ‘আপত্তিকর’ স্লোগান নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করল এনসিপি
  • প্রস্তাবে আটকে আছে সড়ক সংস্কার কাজ