জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চে হামলার নিন্দা তিন ছাত্রসংগঠনের
Published: 14th, May 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের লংমার্চে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী)। তারা এই হামলার বিচার দাবি করেছে।
বুধবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ছাত্রসংগঠন এ দাবি জানায়। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ছাত্র ইউনিয়নের (তামজিদ-শিমুল) অপর অংশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো আন্দোলন দমনে “সিলেকটিভ” আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।.
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাঁরা অবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে পূর্বের ন্যায় ফ্যাসিবাদী কায়দায় আন্দোলন দমন ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। অবিলম্বে এই পুলিশি হামলার বিচার করতে হবে, আহতদের চিকিৎসার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।’
আরও পড়ুনপুলিশের লাঠিপেটা–কাঁদানে গ্যাস, যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের লংমার্চ ছত্রভঙ্গ১০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।