বাংলাদেশের বিপক্ষে আমিরাতের নতুন চেহারার দল ঘোষণা
Published: 15th, May 2025 GMT
গত বছর অক্টোবর মাসে ওয়াসিম অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়ানডে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে। তবে এবার তার নেতৃত্বে মাঠে নামবে আমিরাত। দলে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশ্রণ। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে না থাকলেও, ওয়াসিম এখনও টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা রান সংগ্রাহক। দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার রাহুল চোপড়া, স্পিনার সিমরনজিৎ সিং এবং অলরাউন্ডার সঞ্চিত শর্মা।
সিরিজের সূচি:
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ১৭ মে, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ১৯ মে, একই ভেন্যু।
ম্যাচের সময়: রাত ৯টা (বাংলাদেশ সময়)।
আমিরাতের স্কোয়াড:
মোহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শারাফু, আরিয়ানশ শর্মা, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, ইথান ডি'সুজা, হায়দার আলি, মাতিউল্লাহ খান, মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ, মোহাম্মদ জোহাইব, মোহাম্মদ জুহাইব, রাহুল চোপড়া (উইকেটকিপার), সাগির খান, সঞ্চিত শর্মা ও সিমরনজিৎ সিং।
আরো পড়ুন:
সুখবর দিলেন তাসকিন, শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফেরার আশা
বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি
বাংলাদেশের প্রস্তুতি:
বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যে দুই ভাগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে দলটি এই সিরিজ খেলবে। এই সিরিজের পর বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহেদী হাসান (সহ-অধিনায়ক), জাকের আলী (উইকেটকিপার), পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, রিশাদ হোসেন, শামীম হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম।
এই সিরিজটি উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য, যারা আগামী মাসে পাকিস্তানে একটি বড় সিরিজ খেলবে। অন্যদিকে, আমিরাতের জন্য এটি একটি সুযোগ নিজেদের শক্তি যাচাই করার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট কী এবং জীবনে এর কেমন প্রভাব পড়ে, জানেন?
মানসিক সংযোগ বা অ্যাটাচমেন্ট স্টাইল হলো আমাদের মানসিক ও আচরণগত সেই ধরন, যা আমরা অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সময় ব্যবহার করি। এই স্টাইল মূলত গড়ে ওঠে শৈশবে, বিশেষ করে মা-বাবা বা প্রধান অভিভাবকদের সঙ্গে আমাদের সংযোগের অভিজ্ঞতা থেকে। ছোটবেলা থেকেই অভিভাবকেরা কতটা সাড়া দিতেন, ভালোবাসতেন বা সহানুভূতি দেখাতেন, তার ওপর নির্ভর করে আমরা নিরাপদ, উদ্বিগ্ন, এড়িয়ে যাওয়া বা অগোছালো সম্পর্ক গড়ে তুলি। এর মধ্যে এড়িয়ে চলার মানসিকতা বা অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট এমন এক ধরন, যেখানে মানুষ ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলে ও আবেগ চেপে রাখে। বিস্তারিত জেনে রাখুন।
অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট স্টাইল কীঅ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্টকে অবজ্ঞাসূচক মানসিক সংযোগও বলা হয়। মা-বাবা শিশুর সব মৌলিক চাহিদা পূরণ করলেও আবেগপূর্ণ ভালোবাসা বা সহানুভূতি না দেখালে শিশুর মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য তৈরি হতে পারে।
এ ধরনের শিশু শিখে যায় যে কষ্ট পেলে সেটা গোপন রাখতে হবে, নিজের আবেগ নিজেকেই সামলাতে হবে। তারা বড় হয়ে স্বাধীন হতে চায়, অন্যের ওপর নির্ভর করতে চায় না। গভীর সম্পর্ক বা আবেগের ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলে। এই সংযোগের ধারা বড় বয়সেও থেকে যেতে পারে এবং প্রভাব ফেলে বন্ধুত্ব, প্রেম বা অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রে এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মনে করেন, তাঁদের অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট আছে এবং পুরুষদের মধ্যে এ প্রবণতা কিছুটা বেশি।
আরও পড়ুনশিশু-কিশোরেরা কেন সহিংস হয়ে উঠছে?২১ মে ২০২৫অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট কেন হয়অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট সাধারণত তখনই তৈরি হয়, যখন শিশুর মা-বাবা খুব কড়া, আবেগহীন বা উপেক্ষাপূর্ণ আচরণ করেন। শিশুর কষ্ট বা আবেগের সময় তাঁরা সহানুভূতি না দেখিয়ে বলেন, ‘নিজেই সামলে নাও।’ শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের মতো শৈশবের মানসিক আঘাতও এই অ্যাটাচমেন্টের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে। কিছু উদাহরণ দেখুন—
শিশুর কান্না উপেক্ষা করা।
আবেগ দেখানোকে দুর্বলতা ভাবা।
শিশুর সমস্যা নিয়ে হাসাহাসি করা।
ভালোবাসা বা স্পর্শ থেকে বিরত থাকা।
শিশুকে প্রশ্ন করতে না দিয়ে শুধু নিয়ম মানতে বাধ্য করা।
কখনো কখনো জেনেটিক কারণেও অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট হতে পারে। বিশেষ করে সিওএমটি নামের এক জিনের পরিবর্তন এ প্রবণতা বাড়াতে পারে।
অ্যাভয়েডেন্ট অ্যাটাচমেন্ট পুরোপুরি ঠেকানো না গেলেও, শিশুর মধ্যে নিরাপদ সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব