হাসনাত আবদুল হাই। আগামীকাল তাঁর বয়স হবে ৮৯। বই, লেখালেখি, পাঠকপ্রিয়তা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানেই তিনি সমান প্রাণবন্ত। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথাসাহিত্যিক আমাদের জানান, তাঁর লেখকসত্তার জন্ম, কর্মপন্থা, ঐতিহাসিক চরিত্রের প্রতি অনুরাগ এবং নিজেকে বারবার আবিষ্কারের এক আশ্চর্য যাত্রার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহেরীন আরাফাত
lআগামীকাল আপনার ৮৯ বছর পূর্ণ হয়ে ৯০-এ পা দেবেন.

..
llএখন আর বছর গুনি না। লোকে যা বলে তাই মেনে নিই।
lএই বয়সেও আপনি লেখালেখি, পড়াশোনা, এমনকি ফেসবুকেও দারুণ সক্রিয়। এই অদম্য সক্রিয়তার প্রেরণা কোথা থেকে আসে?
llজীবন সম্পর্কে আমার কৌতূহল– এই কৌতূহল শুরু হয়েছে শৈশবে, তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই কৌতূহলের জন্যই আমি সক্রিয়। যেমন আমি বই পড়ি, লিখি, লোকের সঙ্গে কথা বলি। জীবন সম্পর্কে আমার যদি কৌতূহল না থাকত, তাহলে এগুলো করতে পারতাম না।
lআপনার লেখালেখির শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
llলেখালেখির শুরুটা স্কুলজীবনে। আমি তখন ফরিদপুর জিলা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। হাতে লেখা একটি পত্রিকা বের করা শুরু করলাম। সেখানে আমাকে কবিতা, গল্প অনেক কিছু লিখতে হতো। এভাবে আমার লেখালেখি শুরু। এক পর্যায়ে আমি শুধু ওই পত্রিকার সম্পাদক নই; সব লেখাই আমাকে লিখতে হলো। তারপর ১৯৫৩ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুলের যে বার্ষিকী বের হলো, ওটা আমি সম্পাদনা করলাম। সেখানে প্রথম ছাপা অক্ষরে আমার লেখা প্রকাশিত হয়। সেটা ছিল একটি ভ্রমণকাহিনি– ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একদিন। বয়েজ স্কাউট হিসেবে ট্রেনে করে আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। সেই ট্রেন থেমেছিল দিল্লিতে। দিল্লিতে আমরা এক দিন ঘোরাঘুরির সুযোগ পেয়েছিলাম। পারিবারিক ক্ষেত্রে লেখার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। কারণ বাইরের পড়ার জন্য স্কুল-পাঠ্যবইয়ের পড়া অবহেলা করিনি। ক্লাসে আমি সবসময় প্রথম হতাম। তাই লেখালেখি নিয়ে আমার পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না। তারা বরং উৎসাহ দিয়েছে।
lআপনি কীভাবে লেখেন? মানে আপনার লেখার পদ্ধতিটা কেমন? একটি উপন্যাস বা লেখা মাথায় কীভাবে আসে?
llউপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে বাস্তবের ঘটনা, যেটা আমি দেখি বা শুনি সেটা থেকে আসে– এটি একটি সূত্র। আরেকটা সূত্র হলো, আমি হয়তো পরিকল্পনা করলাম যে, এ বিষয় নিয়ে লিখব। যেমন আমি হয়তো পরিকল্পনা করলাম, জেলেদের জীবন নিয়ে লিখব; কিন্তু জেলেদের জীবন সম্পর্কে প্রত্যক্ষ কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমি যখন এ পরিকল্পনা নেব, তখন আমাকে জেলেজীবন দেখার জন্য জেলেপল্লির কাছে যেতে হবে। আমার একটি উপন্যাস ‘নবীর নৌকা’। নৌকা বানায় যারা তাদের জীবন নিয়ে লেখার ইচ্ছে হলো; কিন্তু এটা তো বাড়িতে বসে লেখা যায় না। এর পেছনে অনেক কারিগরি-টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে, সেগুলো আমাকে জানতে হবে। এ জন্য কর্ণফুলী নদীর পারে যারা নৌকা বানাত, তাদের ওখানে গিয়ে আমি দিনের পর দিন থেকেছি। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি; তারা কীভাবে নৌকা বানায়, তা প্রত্যক্ষ করেছি। বড় বড় নৌকা, সাম্পান সেগুলো কারা কিনে, এর বিনিময়ে তারা কী পায়– এসব সম্পর্কে জেনেছি।
এর মানে দু’ভাবে হয়। আমি একটা প্রত্যক্ষ ঘটনা দেখলাম। যেমন– জুলাইয়ের ঘটনা আমার নিজের চোখে দেখা, টেলিভিশনে দেখা, অন্যের কাছে শোনা; এরপর ইচ্ছে হলো আমি জুলাইয়ের ওপর লিখব। এটা লেখার জন্য শুধু আমার দেখার ওপর নির্ভর করলে হবে না, এ জন্য আমাকে গিয়ে পুরোনো কাগজগুলো পড়তে হলো। সংবাদপত্র পড়লাম, কী কী ঘটনা হলো, কোথায় কোথায় ঘটনা হয়েছে। কোথায় কোথায় গুলিবর্ষণ হয়েছে, কারা মারা গিয়েছে, কারা গুলি করেছে। এরপর নিউজ পেপার থেকে নোট নিয়ে আমি লিখতে বসলাম, তথ্যনির্ভর, ইতিহাসনির্ভর যে উপন্যাস আমি লিখতে চাই, সেটা আমি এখন লিখতে পারি। আমি যদি শুধু তথ্যের ওপর নির্ভর করি তাহলে সেটা ইতিহাস হয়ে যায়, উপন্যাস হয় না। সে জন্য আমি কিছু চরিত্র কল্পনা করেছি, ঘটনাগুলো আমার কল্পিত না, কিন্তু সে কল্পিত চরিত্রগুলো আমার বাস্তবের সঙ্গে জড়িত। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। এভাবে ওই উপন্যাস লিখেছি। তারপরে আমি হয়তো পরিকল্পনা করলাম যে সুলতানকে নিয়ে উপন্যাস লিখব। এটা লিখতে গিয়ে তাঁর তো তেমন বই ছিল না, কিছু রিভিউ ছিল। সৌভাগ্যক্রমে তিনি তখন বেঁচেছিলেন। তিনি নড়াইলে থাকতেন, মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসতেন। তিনি যখন ঢাকায় আসতেন তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ করেছি। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে করে ঘুরেছি, তাঁর সঙ্গে নড়াইলে গিয়ে কথা বলেছি। তাঁকে যারা চেনে তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এভাবে তাঁর তথ্য সংগ্রহ করে, এমনভাবে লিখি যেন এটা শুধু তথ্যনির্ভর না হয়, এর মধ্যে কিছুটা কল্পনাও থাকে। তা না হলে তো উপন্যাস হয় না। কিন্তু বাস্তবভিত্তিক উপন্যাস লিখতে গিয়ে ভাবতে হবে যে, কল্পনাটা যাতে বাস্তবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। যেমন– সুলতান সম্পর্কে কল্পনা করে এমন কিছু বলতে পারব না যে, বাস্তব জীবনের সঙ্গে একেবারেই সম্পর্ক ছিল না। তার মানে আমার কল্পনা অপরিসীম না, সেটা সীমাবদ্ধ এবং সেটা কিছুটা বাধ্যবাধকতা মেনে চলে। 
lআপনার বইয়ে ইতিহাসকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর কারণ কী? 
llআমি জীবনীভিত্তিক উপন্যাস পাঁচ-ছয়টা লিখেছি। কিন্তু আমার উপন্যাসের সংখ্যা ৭০-৮০টির মতো হবে। আমি দেখেছি, জীবনীভিত্তিক উপন্যাসগুলো পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এগুলোর জন্যই আমার ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিতিটা বেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এদেরকে নিয়ে উপন্যাস লিখলে, ইতিহাসের একটা বিশেষ সময়ের, তাদের সমকালকে পাওয়া যায়। সেটা ২৫-৩০ বছর, তাদের জীবনভিত্তিক যেহেতু, সেটা ৫০ বছরও হতে পারে। ইতিহাসের বিষয় নিয়ে আরও এক ধরনের উপন্যাস আমি লিখেছি। যেমন মুক্তিযুদ্ধ। এটা ৯ মাসের ইতিহাস; কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে উপন্যাস-গল্প লিখেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান তো ৩৬ দিনের। সুতরাং ইতিহাস তো বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের হয়। 
lআপনার ভ্রমণকাহিনিও গতানুগতিক ধারার নয়, সেখানেও ভিন্নতা রয়েছে। সেখানে ভূগোল, ইতিহাসের একটা বড় পরিক্রমা তুলে ধরেছেন...
llপ্রথমে ভিন্নতা আসেনি, আমি যখন ষাটের দশকে লিখেছি, সে সময় তো আমেরিকা থেকে ফিরলাম। তারপর আমি ‘দেশান্তরের দিন’ নামে দৈনিক পাকিস্তানে লিখেছি। তারপর ওটার নাম হলো দৈনিক বাংলা। সেখানে ধারাবাহিকভাবে আমার ভ্রমণকাহিনি প্রকাশ হওয়া শুরু হলো, সেটাই শুরু। ধারাবাহিকভাবে আমার ইংল্যান্ড ভ্রমণ, আমেরিকা ভ্রমণ নিয়ে লিখেছি; ঠিক ভ্রমণ নয়, প্রবাসজীবন। আমি তো প্রবাসে চার বছর ছিলাম– দুই বছর আমেরিকায় বিভিন্ন শহরে, তারপর ইংল্যান্ড-লন্ডনে। তারপর লন্ডন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে গিয়েছি, এই চার বছরকে বলা যায় আমার প্রবাসজীবন।  আমার ভ্রমণকাহিনির দুটো ভাগ বা পর্যায় রয়েছে। প্রথম দিকে ছাত্রজীবনে আমি যে ভ্রমণকাহিনি লিখেছি, ১৯৬৪ সালে সেখানে অভিজ্ঞতা, যে অভিজ্ঞতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অর্জন করেছি, চেষ্টা করতে হয়নি; সেই স্বতঃস্ফূর্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার প্রথম ভ্রমণকাহিনি। এরপর চাকরিজীবনে ও পরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে রচনাকে নতুন করে সাজানো। 
আমি যখন পরিণত বয়সে রাশিয়া গেলাম, তখন মনে হলো যে রাশিয়াকে তুলে ধরতে হবে। রাশিয়ায় যে বিপ্লব হলো, সে বিপ্লবে কী ফলাফল হয়েছে, ফলাফলের পর এখানকার মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে, এটা আমাকে দেখাতে হবে। আমি ওখানে গিয়ে যা দেখেছি বা দেখতে চেয়েছি; যা শুনতে চেয়েছি, যেখানে যেতে চেয়েছি; তার প্রধান কারণ– বিপ্লবোত্তর রাশিয়াকে তুলে ধরা।
ঠিক একইভাবে আমি যখন চীন দেশে গেলাম ১৯৭৯ সালে, তারপর আরও পাঁচবার গিয়েছি, তখনও আমার উদ্দেশ্য ছিল, মাও সে তুংয়ের বিপ্লবের পর চীন দেশ কীভাবে পরিবর্তন হলো; সে পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটা কী; সে প্রক্রিয়ার ফলে সেখানকার নর-নারীর জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে; তারা কী আগের থেকে সুখে আছে; তাদের কী কল্যাণ বৃদ্ধি পেয়েছে– এসব জানার আগ্রহ নিয়ে আমি গিয়েছি। যখন কেনিয়া গেলাম, আমি জানতাম ওখানে সাফারি হয়, বন্যজন্তুদের পার্কে রাখা হয়েছে সেগুলো দেখব। পাশাপাশি কেনিয়াতে আমাদের আদিপুরুষের সবচেয়ে প্রাচীন কঙ্কাল রাখা আছে। এটি একটি মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। আমি যাওয়ার আগেই পরিকল্পনা করেছি যে এই কঙ্কাল দেখব এবং আমাদের আদিপুরুষের ইতিহাস জানতে চেষ্টা করব। 
lসাহিত্য চর্চায় কোনো নির্দিষ্ট সময় বা রুটিন কি আপনি মেনে চলেন? 
llএটা খুবই নমনীয়, ফ্লেক্সিবল। আমি যখন সুস্থবোধ করি, সুস্থ-সতেজ এবং এনার্জেটিক থাকি, তখন লিখি। যেমন– আমার যদি রাতে ঘুম না হয়, তখন আমি সকালে ক্লান্ত, অবসন্নবোধ করি এবং আমি সতেজ থাকি না। তখন আমি লিখিও না, পড়িও না। নাশতা করে গিয়ে আবার ঘুমাই, তারপর দুপুর থেকে আমার আবার লেখাপড়া শুরু হয়। সুতরাং লেখার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, এটা নির্ভর করছে আমি কখন সতেজ বোধ করি, কখন আমি সুস্থবোধ করি, কখন আমি অবসাদগ্রস্ত বলে মনে করি না।

lআপনার সাহিত্যে কি নিজেকে খুঁজে পান?
llসাহিত্যে আমার যা বক্তব্য সেটা বলতে চাই, আমি যা দেখছি-শুনছি তার ভিত্তিতে আমার যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটা আমি কখনও গল্পের আকারে, প্রবন্ধের আকারে, উপন্যাসের আকারে আমি লিখছি। সেটাই উপস্থাপন করতে চাই। আমার যে বলবার তাগিদ, সেই তাগিদ থেকেই আমার সাহিত্য।
lলেখক হিসেবে আপনার দুর্বল ও শক্তিশালী দিক কোনটা?
আমার দুর্বলতা হলো, একবার লেখার পর সেটা আর কারেক্ট করি না। অনেক ভুলত্রুটি থাকে, সেটা আমি বাড়াইও না, কমাইও না। একবার লেখার পর সেটাকে আর সংস্কার, রিভাইজ করি না; এটা একটা দুর্বলতা। আমার মনে হয়, প্রত্যেক লেখকেরই উচিত একবার লেখার পর রিভাইজ করা; পরিবর্ধন, পরিমার্জন করা উচিত। আর আমার সবল দিক হলো– আমি যখন লিখি, তখন লেখার মধ্যে কোনো ছেদ আসে না। একই লেখা যে পর্যন্ত শেষ না হয় আমি লিখে যাই, কেননা আমার চিন্তা হয়, উদ্বেগ হয়; ছেদ দিই না, কারণ আমি আজকে যে চিন্তা করছি, যে গতি আছে, যেটা প্রকাশ করছি; ক’দিন পরে এই গতি পাব না, চিন্তার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটবে না। সে জন্য আমি একটানা লিখে যাই, খাওয়া-পড়া-ঘুমানো ছাড়া ওই লেখা নিয়েই থাকি।
lএখন কী লিখছেন?
llতিনটা বিষয় বেছে নিয়েছি। একটা হলো আমি কিয়তো শহরে ছয় মাস ছিলাম। এটা নিয়ে আমার লেখা হয়নি, সেখানে নোট নিয়েছি প্রচুর, এ নিয়ে একটা ভ্রমণকাহিনি লিখব। তাহলে অন্য ভ্রমণকাহিনির সঙ্গে সিরিজের হবে। এরপর স্থাপত্য, ভাস্কর্য এসব নিয়ে লিখতে চাই এক মলাটে। এটা হবে দ্বিতীয় বই; আর তৃতীয় বই– আমি অবসরে যাওয়ার পর তিন খণ্ডে জীবনস্মৃতি লিখেছি। আমার অবসর জীবন শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে, সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই অবসরের জীবন কীভাবে কেটেছে, আমি কী করেছি; সেগুলো নিয়ে আমার চতুর্থ স্মৃতিকথা লিখব। এই তিনটা বই আমি একসঙ্গে লিখতে চাই, আমি এভাবে কোনো দিন লিখিনি। একটার পর একটা লিখেছি। যেহেতু আমার সময় কম, সেহেতু তিনটা বই একসঙ্গে লিখব। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপন য স ল খ ভ রমণক হ ন দ র জ বন আম র ক র কল প ক ত হল ই আম র ব ধ কর প রক শ lআপন র আম র য র জন য আম র স ন র ভর আপন র করল ম প রথম র একট ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে গ্রামীন সড়ক পুননির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ

ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি গ্রামীন সড়ক পুননির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ বাজারের সামনে বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। আন্দোলনকারীরা প্রতাপ বাজার থেকে ঈশ্বরকাঠী আখড়াবাড়ি পর্যন্ত সড়ক পুননির্মাণের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মিজানুর রহমান, স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হাসান টিটু, রমিন হাওলাদার ও হালিম হাওলাদার। 

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ভারী বৃষ্টিতে আঞ্চলিক সড়কে ধস

যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস

বক্তারা বলেন, প্রতাপ বাজার থেকে ঈশ্বরকাঠী আখড়াবাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। ইট বিছানো ভাঙা এই সড়কে চলাচলে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকবার ধরনা দিয়েও সড়ক সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এ কারণে এলাকাবাসী সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। সড়কটি পুননির্মাণের জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ