সকাল ৮টায় উঠবে।
গানের ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=0P4A1K4lXDo
বদলে গেছে সময়, বদলেছে মানুষের রুচি ও চাওয়া। তার প্রভাব সবসময়ই বিরাজমান গান ও চলচ্চিত্রে। বড় বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য শত শত কোটি টাকা বাজেট রাখা হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, নব্বই দশকে একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণের জন্য প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন নির্মাতারা। ‘স্ক্রিম’ শিরোনামের গানটি জায়গা করে নেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। চলুন ব্যয়বহুল এই গানের আদ্যোপান্ত জেনে নিই—
মাইকেল জ্যাকসনের অডিও গানের নবম অ্যালবাম ‘হিস্ট্রোরি: পাস্ট, প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার, বুক-১’। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দুই ভাগে (ডিস্ক-১, ডিস্ক-২) এই অ্যালবামের ৩০টি গান রেকর্ড করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২০ জুন মুক্তি পায় অ্যালবামটি। এই অ্যালবামে ছিল ‘স্ক্রিম’ গানটি।
‘স্ক্রিম’ গান নিয়ে নির্মিত হয় মিউজিক ভিডিও। গানটিতে যৌথভাবে কণ্ঠ দেন বিশ্বনন্দিত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন ও তার বোন জ্যানেট জ্যাকসন। এ গানের কথা লেখেন মাইকেল জ্যাকসন, জ্যানেট জ্যাকসন, জিমি জ্যাম এবং টেরি লুইস। এই গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণে ব্যয় হয় ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা)। এটি প্রযোজনা করেন গানটির চার গীতিকার। এটি পরিচালনা করেন মার্ক রোমানেক। ‘হিস্ট্রোরি: পাস্ট, প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার, বুক-১’ মুক্তির আগে ‘স্ক্রিম’ গানের ভিডিও মুক্তি পায়। অর্থাৎ ১৯৯৫ সালের ২৯ মে মুক্তি পায় এটি।
মাইকেল জ্যাকসনের এ গান মুক্তির পর কেটে গেছে ৩০ বছরের বেশি সময়। এখনো এ গানের ব্যয় অতিক্রম করতে পারেনি। সবচেয়ে ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিওর জায়গা এখনো দখলে রেখেছে গানটি।
যেসব খাতে ব্যয় হয় বাজেটের অর্থ-
১.
২. জ্যানেট জ্যাকসনের মেকআপ: ৮ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকার বেশি)।
৩. সিজিআই স্পেসশিপ ইফেক্ট: ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৯ লাখ টাকার বেশি)।
৪. কোরিওগ্রাফি: ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ লাখ টাকার বেশি)।
৫. আর্ট ও ভিডিও ইনস্টলেশন: ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি)।
৬. লাইটিং: ১ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকার বেশি)।
৭. ইনস্ট্রামেন্টস: ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৪ লাখ টাকার বেশি)। বাকি অর্থ অন্যান্য খাতে খরব হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইয়াহু ডটকম, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ডটকম, সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অটোমোবাইল শিল্পে নতুন পরিষেবা
ই-কমার্স সাইটে কেনাবেচায় যেসব পণ্য জনপ্রিয় হয়েছে, সে তালিকায় অটোমোবাইল অন্যতম। যান্ত্রিক পরিষেবার প্রয়োজনে তাই অটোমোবাইল নিয়ে আগ্রহীরা দারুণ উৎসুক। এমন ধারণা থেকে
বিক্রয় ডটকম মোটরগাইড বাংলাদেশ নামে নতুন অটোমোটিভ পোর্টালের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন পোর্টালটি গাড়ি, বাইক ক্রেতা-বিক্রেতা ও আগ্রহীর জন্য বিশেষভাবে নির্মিত।
সারাদেশে মোটরযান বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে স্থানীয় ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের চাহিদা বাড়ছে।
এমন চাহিদা পূরণেই মোটরগাইড ডটকম সাইটের যাত্রা বলে উদ্যোক্তা জানায়।
জানা গেছে, গাড়ি, মোটরবাইক ও অটো পার্টস বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে এ সাইটে। নতুন ক্রেতা, অভিজ্ঞ গাড়ি, বাইকপ্রেমী বা মার্কেট যাচাইয়ে আগ্রহী বিক্রেতার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও নির্দেশনা। সাইটটি বিশেষ করে বাংলাদেশি মার্কেটের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেখানে থাকছে নতুন গাড়ির রিভিউ থেকে শুরু করে পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ।
সাইটের অন্যতম সুবিধা সজ্জিত ফিল্টারিং পরিষেবা। গাড়ির ব্র্যান্ড, মডেল, দাম, ধরন বা ইঞ্জিন সিসি অনুসারে একাধিক ফিল্টার ব্যবহার করে পছন্দের বাইক বা গাড়ি রিভিউ খোঁজার সুযোগ থাকবে।
ফলে কমিউটার বাইক কিনতে চাইলে, এসইউভির তুলনা করতে চাইলে বা পছন্দের ব্র্যান্ডের নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজনে সহজে ও মানসম্মত কনটেন্ট সামনে দৃশ্যমান হবে।
বাড়তি সুবিধা হলো, মোটরগাইড বিক্রয় সাইটের বিস্তৃত ডেটাবেসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ফলে আগ্রহীরা এক ক্লিকেই বিক্রয়যোগ্য গাড়ি,
বাইক বা অটো পার্টসের বিষয়ে জানতে পারবেন। আগ্রহী ক্রেতারা আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বুঝতে পারবেন, বাজার চাহিদা ও ট্রেন্ড কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।
বিক্রয় ডটকমের হেড অব মার্কেটিং মো. আরিফিন হোসাইন বলেন, মোটরগাইড শুধু রিভিউ সাইট নয়; এতে রয়েছে তথ্যনির্ভর, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রাহকবান্ধব তথ্য সমাহার। ইন্ডাস্ট্রির নিত্যনতুন তথ্য সংযোগে ক্রেতার স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে ও বিক্রেতাকে বাজার বুঝতে সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে মোটরগাইড বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারাদেশের প্রতিটি বাইক বা গাড়িপ্রেমীর জন্য এটি হবে সিদ্ধান্ত সহায়ক ও অটোমোটিভ বিশ্বের খবর জানার সঙ্গী।