২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য সাবজেক্ট চয়েস, ভর্তি এবং ক্লাস শুরুর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপকমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তিতে ইউনিটসমূহের সাবজেক্ট চয়েস গ্রহণের তারিখ, ভর্তির শেষ তারিখ এবং ক্লাস শুরুর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনর্নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, বিষয় চয়েস গ্রহণ করা হবে ২৬ থেকে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত। ভর্তি শুরু হবে ১৬ জুন এবং শেষ হবে ২৪ জুলাই ২০২৫। ক্লাস শুরু হবে ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখ থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্টদের পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুনকানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আশ্রয় আবেদনে রেকর্ড, আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুন৩৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেল ৩ কোটি টাকা১৫ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খনিজ ও তেল–গ্যাস অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতার পরিসর বাড়াতে আগ্রহী। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

গত মাসে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ বাণিজ্যচুক্তিতে সই করেছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে শুল্ক কমবে ও বিনিয়োগ বাড়বে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল জানান, ইসলামাবাদ মার্কিন কোম্পানিগুলোকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে খনন প্রকল্পে স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের সুযোগ দেবে এবং ইজারা চুক্তিতে ছাড়ের মতো নানা ধরনের সুবিধা দেবে। খবর রয়টার্স

বেলুচিস্তান প্রদেশে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনি আছে বলে ধারণা করা হয়। রেকো ডিক নামের এক খনিপ্রকল্প সেখানে চলমান; এই প্রকল্প পরিচালনা করছে ব্যারিক গোল্ড নামের একটি খনিপ্রতিষ্ঠান।

রুবিও বুধবার রাতে বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও তেল-গ্যাস খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও বাণিজ্য সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

ট্রাম্প প্রশাসনের আগে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা শীতল ছিল। এর পেছনে একটি কারণ হলো, পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারতের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঝুঁকে পড়া। মূলত চীনের উত্থান মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। এ ছাড়া আফগানিস্তানের বিষয়েও ওয়াশিংটনের ক্ষোভ ছিল, বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসনের সময় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় তালেবানদের ক্ষমতা দখলের ঘটনায়। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, পাকিস্তান এই কাজে তালেবানদের সহযোগিতা করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে। ট্রাম্পের উদ্যোগে মে মাসে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি হয় বলে দাবি করা হয়। পাকিস্তান ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে, যদিও ভারত জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে সরাসরি আলোচনায় বসতে হবে, বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা হতে হবে।

এদিকে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের ওয়াশিংটন সফরের সময় ‘বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

দুই দেশের বাণিজ্য

ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ বা ইউএসটিআরের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে পণ্য ও সেবা–বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০ কোটি ডলার; ২০২৩ সালের তুলনায় যার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের পণ্যবাণিজ্য (রপ্তানি ও আমদানি) ছিল মোট ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ৭২০ কোটি ডলার। গত বছর পাকিস্তানে মার্কিন পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ২১০ কোটি ডলার, আগের বছরের তুলনায় যা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি ছিল ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৫১০ কোটি ডলারের; ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ফলে ২০২৪ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন পণ্যবাণিজ্যের ঘাটতি ছিল ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার—২০২৩ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সেবা–বাণিজ্য ছিল প্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ২৯০ কোটি ডলারের। পাকিস্তানে মার্কিন সেবা রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১৭০ কোটি ডলারের, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সেবা আমদানি হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি ডলারের, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা–বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ৬১০ মিলিয়ন বা ৬১ কোটি ডলার; ২০২৩ সালের তুলনায় যা ১৪৭ শতাংশ বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ ৭০০ কোটি টাকা, ফেরত সামান্যই
  • নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দায়বদ্ধ সিটি ব্যাংক
  • ১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি
  • গণ–অভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছিল: অধ্যাপক ইউনূস
  • কুবিতে র‍্যাগিং: ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উ
  • খনিজ ও তেল–গ্যাস অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • মুন্নী সাহা ও তার স্বামীকে সম্পদ বিবরণীর নো‌টিশ
  • জাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ সেপ্টেম্বর
  • ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ, আবেদন শেষ ৩০ আগস্ট
  • জুলাই আন্দোলনের হামলা মামলার আসামি পেলেন ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা