কক্সবাজারের টেকনাফে বিভিন্ন সময় যৌথ অভিযানে জব্দকৃত সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে কোস্ট গার্ড। শুক্রবার (১৬ মে) সকালে টেকনাফ বিসিজি স্টেশনে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।

কোস্ট গার্ডের পূর্ব জোনের অধীনস্থ টেকনাফ বিসিজি স্টেশনের কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশিদ তানভীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১২টি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে এককভাবে ও র‍্যাবের সমন্বয়ে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় মোট ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৭০ পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য ৪৫ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।”

তিনি আরো বলেন, “এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আলামত হিসেবে ৯৮০ পিস ইয়াবা ও ১৭৫ গ্রাম গাঁজা থানায় জমা দেওয়া হয়। বাকি ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ পিস ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা ধ্বংসের জন্য কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশনা দেন।” 

আরো পড়ুন:

ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে সিগারেটের মূল্যস্তর কমানোর দাবি

কোস্ট গার্ডের অভিযানে সোয়া ৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার

মাদক ধ্বংস কার্যক্রমে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ, কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো.

আসিফ, শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সিফাত উল্লাহ তাসনিম আলম, টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর জানান, নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মাদক পাচার রোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। 

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা চাইলেন বিচার–মর্যাদা–সংস্কার

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বছর পেরোলেও বিচার ও মর্যাদা না পাওয়ায় এবং সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই সময় তাঁরা ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।

গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সম্মিলনের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্যগুলো জানিয়েছে।

এই সম্মিলন থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

সম্মিলনে শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তিনি স্বামীর লাশ পাননি।

এক বছর কেউ মনে রাখেনি বলে অভিযোগ করেন জুলাই শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। তাঁর প্রশ্ন, এক বছর পর মনে পড়ল? জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শহীদ পরিবার এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এখনো বিচার হয়নি।

মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকতে হবে। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব, সেগুলো করে ফেলা জরুরি। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, তিনি এমন একটি দেশ চান, যেখানে আর কেউ শেখ হাসিনার মতো হতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহত ব্যক্তিদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চান না।

এখনো যে বেঁচে আছেন, এটা বোনাস—বলে মন্তব্য করেন আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান।

‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ