দেশের দুর্বল ব্যাংকে হস্তক্ষেপ করে পুনর্গঠন করা হবে
Published: 16th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোয় সরকারি হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সবল করতে দুর্বল সরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকারীকরণ করা হতে পারে। প্রয়োজনে সরকার থেকে ব্যাংকগুলোকে নতুন করে মূলধন দিয়ে পুনর্গঠনও করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে দুবাইয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে জনতা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দেশটির কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আগের যে মালিকানা আছে, সেগুলো থাকবে না। আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করে পুনর্গঠন করব। তবে কোনো আমানতকারী টাকা হারাবে না। আমানতকারীর চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সবার স্বার্থ দেখা হবে; কাউকে বাদ দেওয়া হবে না।
বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, অর্থ পাচারে জড়িতদের ধরতে প্রয়োজন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা নেওয়া হবে। অর্থ পাচারকারীদের সম্পদ জব্দের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সভায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠানোয় আমিরাত প্রবাসীদের সাধুবাদ জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। সাধারণ কর্মীদের বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে ফি কমানোর বিষয়ে জোর দেন কনসাল জেনারেল মো.
অনুষ্ঠানে আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে জনতা ব্যাংকের নতুন ১৩টি বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ফজলুর রহমান।
জনতা ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশিদ ওহাব, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র বল আম র ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ
নারীর অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আধ্যাপক জুলেখা আক্তার, শিক্ষক সাবিনা লিনা, কবি শৈকত দে, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ঋতু পারভী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের আহ্বায়ক আসমা আক্তার, হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য দয়াসোনা চাকমা, গার্মেন্টস ওর্য়াকাস ইউনিয়নের সংগঠক এ্যানি চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন রহমান, ছাত্রফ্রট কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক দীপা মজুমদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অব্যাহত নারী নিপীড়ন, অবমাননা, লাঞ্ছনা, ধর্ষণ ও কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে ধরে বলেন, জুলাই আন্দোলনে নারীরা ভাইদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। অসংখ্য নারী আহত হয় আন্দোলনে আবার প্রাণও দেয় নারীরা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই সম্মেলিত ভাবে হলেও ৫ আগস্টের পর আমরা দেখি নারী পুরুষের বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। ৫ আগস্টে পর আমরা দেখি পথে ঘাটে লঞ্চে নারীদের মব তৈরি করে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। আমরা দেখি মৌলবাদী গোষ্ঠীকে ঘরে বাহিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে নারীদের আক্রমণ ও হেনস্থা করার চিত্র।
তারা বলেন, সম্প্রতি নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে নারী সংস্কার কমিশনের নেত্রীদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতে দেখি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সভায় নারীর অধকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।