রাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য
Published: 16th, May 2025 GMT
রাঙামাটি শহরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল লোক ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করে। রাত ৯টা পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলছিল। এটি গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে ও সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পাশে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ৩১ ফুট ও প্রস্থ ১২ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের এ ভাস্কর্য ঢেকে দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার ভাস্কর্যটি অপসারণ চেয়ে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। তারা জেলা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাফি। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মো.
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফ্যাসিবাবিরোধী ছাত্র-জনতা ব্যানারে শহরের ভেদভেদী বাজার থেকে ‘মার্চ ফর ফ্যাসিবাদী আইকন’ কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের একপাশে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে বিক্ষোভকারীরা নিজেরাই পাশে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। তারা প্রথমে কয়েকটি বড় হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে ড্রিল মেশিন ও রড কাটার মেশিন দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙতে থাকেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার সময় জেলা প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে শত শত মানুষ জড়ো হন। অনেকে এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
ঘটনাস্থলে শহরের বাসিন্দা মো. সাউবান, জালাল উদ্দিন, ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, ইমাম হোছাইন ইমু, শহিদুল ইসলাম শাফি, ইমাম হোছাইন কুতুবী উপস্থিত ছিলেন। ইমাম হোছাইন ইমু বলেন, ‘ভাস্কর্যটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। সব গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বাড়ি ফিরব।’
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার খবর শুনেছি। তবে কে বা কারা ভাঙছে, তা জানা নেই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ স কর য শ খ ম জ ব র রহম ন র ভ স কর য ভ স কর য ভ ঙ অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে ইসরায়েল রাজি হয়েছে।
আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
নিজ মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তার প্রতিনিধিরা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক “দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ বৈঠক” করেছেন।
তিনি লেখেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোতে রাজি হয়েছে, এই সময়ে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য।
ট্রাম্প আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কাছে “চূড়ান্ত প্রস্তাব” পৌঁছে দেবে।
তিনি হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের মঙ্গলের জন্য হামাস এই চুক্তি গ্রহণ করবে, কারণ এর চেয়ে ভালো কিছু সম্ভব নয়, নইলে পরিস্থিতি আরও খারাপই হবে।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন “আগামী সপ্তাহেই” গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি গাজা ও ইরান ইস্যুতে আলোচনা করবেন।
ট্রাম্প বলেন, তিনি (নেতানিয়াহু) এখানে আসছেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলব। ইরান ইস্যুতে আমাদের যেটা সফলতা ছিল, সেটিও আলোচনা হবে... পাশাপাশি গাজা নিয়েও আলোচনা করব।