আট মাসে ১৯২ একর জমি, ২৮ ভবন ও ৩৮ ফ্ল্যাট জব্দ
Published: 17th, May 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আট মাসে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও জমি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৭৪টি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এসব আদেশে প্রায় ১৯২ একর জমি, ২৮টি ভবন, ৩৮টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি প্লট জব্দ করা হয়। জব্দের তালিকায় থাকা যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ২৩টি গাড়ি। তিনটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে।
দেশে ও বিদেশে থাকা জব্দের আদেশভুক্ত সম্পদের মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমনে তৎপর হয় দুদক। অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ আমলে সংস্থাটি তেমন কোনো তৎপরতা দেখায়নি। সরকার যার প্রতি নাখোশ অথবা গণমাধ্যমে যাঁর দুর্নীতি নিয়ে বেশি খবর প্রকাশিত হতো, তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হতো।
আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো.
সরকার গত ১০ ডিসেম্বর দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে নিয়োগ দেয়। কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয় মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদকে। দুদক এখন নিয়মিত জব্দের আবেদন করছে। আদালতও আদেশ দিচ্ছেন।
সম্পদ জব্দ হওয়া ব্যক্তিদের সমন্বিত কোনো তালিকা দুদকের কাছে পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সময় আদালতের আদেশ সংবাদমাধ্যমে এসেছে। পাশাপাশি দুদক সূত্রেও বেশ কিছু নাম জানা গেছে।
শেখ পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন সম্পদ জব্দের তালিকায়। গত ৩০ এপ্রিল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা ও তাঁর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের জমি ও প্লট জব্দের আদেশ দেন আদালত। সম্পদ জব্দের আদেশ হওয়া সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তাজুল ইসলাম, নসরুল হামিদ, এনামুর রহমান, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, মির্জা আজম, জাকির হোসেন, জান্নাত আরা হেনরীসহ অনেকে। শেখ হাসিনার উপদেষ্টাদের মধ্যে সালমান এফ রহমানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমনে তৎপর হয় দুদক। অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ আমলে সংস্থাটি তেমন কোনো তৎপরতা দেখায়নি। সরকার যার প্রতি নাখোশ অথবা গণমাধ্যমে যাঁর দুর্নীতি নিয়ে বেশি খবর প্রকাশিত হতো, তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হতো।বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তসংস্থা টাস্কফোর্সের সভায় গত ১৬ এপ্রিল জানানো হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার এবং ১০ শিল্পগোষ্ঠীর প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করেছেন আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে ও ৮৪ জনকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের দুজন মহাপরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর পর সন্দেহজনক অবৈধ সম্পদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো জব্দ ও অবরুদ্ধের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি এসব সম্পদ বিক্রি করে দিতে না পারেন। মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাঁরা আরও বলেন, বিচার শেষে দোষী সাব্যস্ত হলে এসব অবৈধ সম্পদ আদালতের নির্দেশে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করতে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও দুদককে ব্যবস্থা নিতে হবে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানসরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁদের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, তাঁদের একজন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম মিলকী। দুদক সূত্র বলছে, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে একটি আটতলা বাড়ি করেছেন তিনি।
গত রোববার সেখানে গিয়ে কথা হয় বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িতে ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বাড়ির মালিক দ্বিতীয় তলায় থাকেন। এটা বাদ দিয়ে প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা ভাড়া ওঠে। ভাড়া তোলা শেষে দুদকের কর্মকর্তাদের তিনি ফোন করেন। তাঁরা এসে টাকা নিয়ে যান।
দুদক এখন যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাঁরা বিগত সরকারে ছিলেন, অথবা সেই সরকারের সুবিধাভোগী। অতীতে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দুদকের তৎপরতা থাকে না বললেই চলে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও দুদককে ব্যবস্থা নিতে হবে। জব্দ করা সম্পদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রক্রিয়া জটিল, তবে আদালতের রায় পেলে সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়। দুদক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে জব্দ হওয়া সম্পদের ১০ শতাংশ সংস্থাটিকে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে সংস্থাটি উৎসাহিত হবে এবং তাদের একটি তহবিলও হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র ব যবস থ ক ষমত আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’
চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।