উদীচীর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি
Published: 17th, May 2025 GMT
সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংগীত নিয়ে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় বগুড়ায় উদীচীর কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।
নেতারা বলেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকাসহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিনষ্ট হবে।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চারণ সংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম রব্বানী খান প্রমুখ।
সবশেষে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও খেলাঘরের শিল্পীরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উদ চ শ ল প গ ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আলোচনাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে।”
বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা এদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ হয়েছে, তেমনি তাদের প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে। বার বার ফ্যাসিবাদের উত্থান হোক তা দেশের মানুষ চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকলের সমানাধিকার থাকবে, নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।”
কমিশনের সহ-সভাপতি আরো বলেন, “সংস্কার কমিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে কমিশন। এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে দলটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং রাহাত আহম্মেদ।
রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যে ১১টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে ঐকমত্য কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়।
ঢাকা/এএএম/ইভা