পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর বিষপান
Published: 17th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মাহবুব আলম টুটুল (৩২) নামে এক যুবক বিষপানে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৭ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মেছোপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রত্না খাতুন (২৫) একই গ্রামের আমোদ মল্লিকের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রত্না খাতুনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বাহির বোয়ালদহ গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মাহবুব আলম টুটুলের প্রায় নয় বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে রত্না খাতুন অন্যত্র বিয়ে করেন। সেখানে মাস খানেক সংসার করার পর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে রত্নার বিচ্ছেদ হয়। এক সপ্তাহ আগে তিনি আবারো প্রথম স্বামী টুটুলের কাছে ফিরে আসেন।
আরো পড়ুন:
টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
চিত্তরঞ্জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, প্রেমিকার বাবা-মা ও ভাবি গ্রেপ্তার
নিহতের বোন মরিয়ম বলেন, ‘‘গত রবিবার রত্না টুটুলকে আবারো বিয়ে করেন। কিন্তু, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে এখনো রত্নার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন টুটুল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। শনিবার দুপুরেও দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে টুটুল ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রত্নাকে হত্যা করেন। এরপর তিনি নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘‘মৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুকে ও পেটে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ওই গৃহবধূর স্বামীও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ