পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নে ফসলি জমির পাশে ছোট নালার উপর সড়ক ছাড়াই অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের ঘটনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্মিলিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়। এ সময় নমুনা সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা হয়।

রোববার (১৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিরনইহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন দুদকের উপপরিচালক আজমির শরীফ মারজী। পরে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও নথি যাচাই বাছাই করেন তিনি।

এ সময় দুদকের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, কনস্টেবল আব্দুস সামাদ ও শামীম হোসেন, উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

নানক, তাজুল ইসলামসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

দুদকের উপপরিচালক আজমির শরীফ মারজী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের এই অভিযান। সরেজমিন এসে সেতুর মাপ, নির্মাণে ব্যবহৃত পাথর, বালি, সিমেন্ট ও রডের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজের নথি যাচাই-বাছাই করা হয়। তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর কমিশনের সিন্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন হাকিমপুর-দগরবাড়ী থেকে বয়ে আসা একটি নালার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে এই সেতুটি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এমপি সাইফুল, সাবেক ডিআইজি নুরুলসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীকে পোড়ানোর ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এ মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।

শুনানি শেষে আজ দুপুরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, এ মামলার আট আসামি বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের হাজির করতে বলা হয়েছে। অন্য আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৩ জুলাই এ মামলার পরবর্তী শুনানি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে এই ছয়জনকে (যাঁর মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি ও আবুল হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এমপি সাইফুল, সাবেক ডিআইজি নুরুলসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন