পদ্মায় ধরা পড়া মহাবিপন্ন বাগাড় ও বোয়াল ২৭ হাজারে বিক্রি
Published: 19th, May 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীর একটি বোয়াল ও মহাবিপন্ন বাগাড় মাছ প্রায় ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে স্থানীয় এক ব্যক্তি বোয়াল এবং পাবনার কাজিরহাট এলাকার এক ব্যবসায়ী বাগাড়টি কিনে নেন।
এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার এক মৎস্য ব্যবসায়ী ওই মাছ দুটি নিলামে কিনেছিলেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জের জেলেরা আজ সোমবার সকালে আরিচা এলাকায় বড় একটি বাগাড় ধরেন। পরে এটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের দেলোয়ার সরদার নামের এক ব্যক্তির আড়তে নেন। ১৩ কেজি ওজনের মহাবিপন্ন বাগাড়টি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকায় মাছটি কিনে ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর আগে ১১ এপ্রিল দৌলতদিয়ায় ১০ কেজি ওজনের একটি বাগাড় নিলামে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে পাঁচ কেজি ওজনের একটি বোয়াল ধরা পড়ে। সেটি আজ সকালে বাজারের হালিম মণ্ডলের আড়তে তোলা হয়। মাছটি ৭ হাজার টাকায় কিনে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ৭ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন শাহজাহান শেখ।
শাহজাহান শেখ বলেন, তিনি আজ সকালে বাগাড়টি নিলামে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে মোট ১৮ হাজার ৮৫০ টাকায় কেনেন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুঠোফোনে পাবনার কাজিরহাট এলাকার এক ব্যবসায়ী ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় সেটি কিনে নেন।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের তালিকা অনুযায়ী, বাগাড় একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাগাড় শিকার, ধরা ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন না থাকায় বাগাড় শিকার ও প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি অব্যাহত আছে। নিলামে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বাগাড় বিক্রি হলেও আইনত কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।
খাবারের খোঁজে বা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বাগাড় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে জানিয়ে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বাগাড় শিকার ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এমনটি নেই। এ কারণে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। ইচ্ছা করলে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট এল ক র দ লতদ য় ব যবস য় মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মায় ধরা পড়া মহাবিপন্ন বাগাড় ও বোয়াল ২৭ হাজারে বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীর একটি বোয়াল ও মহাবিপন্ন বাগাড় মাছ প্রায় ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে স্থানীয় এক ব্যক্তি বোয়াল এবং পাবনার কাজিরহাট এলাকার এক ব্যবসায়ী বাগাড়টি কিনে নেন।
এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার এক মৎস্য ব্যবসায়ী ওই মাছ দুটি নিলামে কিনেছিলেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জের জেলেরা আজ সোমবার সকালে আরিচা এলাকায় বড় একটি বাগাড় ধরেন। পরে এটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের দেলোয়ার সরদার নামের এক ব্যক্তির আড়তে নেন। ১৩ কেজি ওজনের মহাবিপন্ন বাগাড়টি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকায় মাছটি কিনে ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর আগে ১১ এপ্রিল দৌলতদিয়ায় ১০ কেজি ওজনের একটি বাগাড় নিলামে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে পাঁচ কেজি ওজনের একটি বোয়াল ধরা পড়ে। সেটি আজ সকালে বাজারের হালিম মণ্ডলের আড়তে তোলা হয়। মাছটি ৭ হাজার টাকায় কিনে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ৭ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন শাহজাহান শেখ।
শাহজাহান শেখ বলেন, তিনি আজ সকালে বাগাড়টি নিলামে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে মোট ১৮ হাজার ৮৫০ টাকায় কেনেন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুঠোফোনে পাবনার কাজিরহাট এলাকার এক ব্যবসায়ী ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় সেটি কিনে নেন।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের তালিকা অনুযায়ী, বাগাড় একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাগাড় শিকার, ধরা ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন না থাকায় বাগাড় শিকার ও প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি অব্যাহত আছে। নিলামে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বাগাড় বিক্রি হলেও আইনত কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।
খাবারের খোঁজে বা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বাগাড় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে জানিয়ে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বাগাড় শিকার ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এমনটি নেই। এ কারণে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। ইচ্ছা করলে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন।’