ভারতের ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত রাখার দাবি জনতা পার্টির
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে ভারতের ‘পুশ ইন’ এবং পণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকালে জনতা পার্টির আয়োজনে ‘ভারতের অমানবিক পুশ ইনের প্রতিবাদে’ মানববন্ধনে নেতারা এসব কথা বলেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে অবৈধভাবে আশ্রিত আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের ‘পুশ ইন’ (ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো) করার দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুসলিম লীগের সভাপতি মহসিন রশীদ বলেন, অবিলম্বে ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া ভাষায় ‘পুশ ইন’র প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় শ্রমিকদের পুশ ব্যাক করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, ‘সময় এসেছে ভারতের এই নিষ্ঠুর পুশ ইন থামানোর। একাত্তর ও চব্বিশের চেতনায় বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। কারও করদ রাজ্য নয়।’
ভারতীয় জনগণের বন্ধুত্ব, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান করেন উল্লেখ করে গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কিন্তু ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ঘৃণা করি।’
জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘স্থলপথে রপ্তানি (বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য পাঠানো) বন্ধ করে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে ভারত। ত্রিপুরায় পণ্য পাঠাতে হলে এখন কলকাতা হয়ে পাঠাতে হবে। অথচ বাংলাদেশের বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কলকাতা থেকে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে পণ্য পাঠাতে ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহার সুবিধা দিয়ে রেখেছে। অবিলম্বে এসব সুবিধা স্থগিত করা দরকার।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জনতা পার্টির উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প শ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্টের সামনে আগামীকাল মানববন্ধন করবেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা
দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামছে না। ‘ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের’ নিয়ে করা রিট বাতিলের দাবিতে আগামীকাল রোববার ঢাকায় সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কার্যনির্বাহী সদস্য রমজান আলী প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, একই সঙ্গে সারা বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
ছয় দফা দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল ‘শাটডাউন’ সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধ।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, বেতন কম, কারিগরিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা১৩ মে ২০২৫উল্লেখ্য, পদোন্নতির বিধান না থাকায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড ও নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০-এর দুটি সিরিয়াল (২৭ ও ২৮) চ্যালেঞ্জ করে গত বছর ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর মো. আশিক মিয়াসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুনদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি২৯ এপ্রিল ২০২৫