মহেশ ভাট নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘আশিকি’। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় এটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন রাহুল রায় ও অনু আগরওয়াল। মুক্তির পর এ সিনেমা তাদের রাতারাতি তারকা খ‌্যাতি এনে দেয়।

প্রায় ৩ দশক ধরে রুপালি পর্দায় অনুপস্থিত অনু আগরওয়াল। সেই সময়ের তারকা খ্যাতি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ৫৬ বছরের এই অভিনেত্রী। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।  

‘আশিকি’ সিনেমা মুক্তির পরও মুম্বাইয়ে একা থাকতেন অনু আগরওয়াল। এটি খানিকটা ভীতিকর ছিল। তা উল্লেখ করে অনু আগরওয়াল বলেন, “জানেন, আমার ভবনের নিচে ভক্তরা দাঁড়িয়ে থাকতেন! ভাগ্যক্রমে আমি একটি এমপি বিল্ডিংয়ে থাকতাম। যার ফলে পুলিশি নিরাপত্তা পেতাম। ৮-১০ জন অস্ত্রধারী গার্ড থাকতেন। তারা লোকজনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিতেন না। কিন্তু এটি পাগলামি ছিল।”  

“আমার ভবন দেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসছিলেন। আপনি জানেন, শাহরুখ খানের বর্তমান অবস্থা কেমন!” বলেন অনু।

অভিনয় ক্যারিয়ারে সাফল্য পাওয়ার কিছুদিন পরই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন অনু আগরওয়াল। এখন শাহরুখ খানের পড়শি তিনি। শাহরুখ খানের ভক্ত-অনুরাগীদের অবস্থা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি বুঝতে পারছি এমনই হতো। আর আমি পালিয়ে যেতাম।”

সেই সময়ে দাউদ ইব্রাহিমের মতো গ্যাংস্টাররা বলিউড শাসন করতেন। টেবিলের নিচে চুক্তি হতো। এসব তথ্য উল্লেখ করে অনু আগরওয়াল বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পে যে সমস্ত অর্থ আসছিল, তা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে আসছিল।”

বর্তমানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে কীভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আজকাল যে দৃশ্য দেখি, তা আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়। ৫-১০ বছর আগেও আমার কাছে এটি এত আকর্ষণীয় মনে হয়নি।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে অনু আগরওয়াল বলেন, “বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিবর্তন এসেছে। এমনকি দক্ষিণের চলচ্চিত্রগুলোও বড় হয়েছে। দর্শকদের সামনে অনেক অপশন, পছন্দমতো তারা বেছে নিতে পারেন। কেবল তারকাদের দেখে মানুষ সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা চাইলেন বিচার–মর্যাদা–সংস্কার

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বছর পেরোলেও বিচার ও মর্যাদা না পাওয়ায় এবং সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই সময় তাঁরা ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।

গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সম্মিলনের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্যগুলো জানিয়েছে।

এই সম্মিলন থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

সম্মিলনে শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তিনি স্বামীর লাশ পাননি।

এক বছর কেউ মনে রাখেনি বলে অভিযোগ করেন জুলাই শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। তাঁর প্রশ্ন, এক বছর পর মনে পড়ল? জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শহীদ পরিবার এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এখনো বিচার হয়নি।

মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকতে হবে। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব, সেগুলো করে ফেলা জরুরি। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, তিনি এমন একটি দেশ চান, যেখানে আর কেউ শেখ হাসিনার মতো হতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহত ব্যক্তিদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চান না।

এখনো যে বেঁচে আছেন, এটা বোনাস—বলে মন্তব্য করেন আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান।

‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ