‘দাউদ ইব্রাহিমের মতো গ্যাংস্টাররা তখন বলিউড শাসন করতেন’
Published: 20th, May 2025 GMT
মহেশ ভাট নির্মিত আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘আশিকি’। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় এটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন রাহুল রায় ও অনু আগরওয়াল। মুক্তির পর এ সিনেমা তাদের রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয়।
প্রায় ৩ দশক ধরে রুপালি পর্দায় অনুপস্থিত অনু আগরওয়াল। সেই সময়ের তারকা খ্যাতি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ৫৬ বছরের এই অভিনেত্রী। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
‘আশিকি’ সিনেমা মুক্তির পরও মুম্বাইয়ে একা থাকতেন অনু আগরওয়াল। এটি খানিকটা ভীতিকর ছিল। তা উল্লেখ করে অনু আগরওয়াল বলেন, “জানেন, আমার ভবনের নিচে ভক্তরা দাঁড়িয়ে থাকতেন! ভাগ্যক্রমে আমি একটি এমপি বিল্ডিংয়ে থাকতাম। যার ফলে পুলিশি নিরাপত্তা পেতাম। ৮-১০ জন অস্ত্রধারী গার্ড থাকতেন। তারা লোকজনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিতেন না। কিন্তু এটি পাগলামি ছিল।”
“আমার ভবন দেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসছিলেন। আপনি জানেন, শাহরুখ খানের বর্তমান অবস্থা কেমন!” বলেন অনু।
অভিনয় ক্যারিয়ারে সাফল্য পাওয়ার কিছুদিন পরই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন অনু আগরওয়াল। এখন শাহরুখ খানের পড়শি তিনি। শাহরুখ খানের ভক্ত-অনুরাগীদের অবস্থা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি বুঝতে পারছি এমনই হতো। আর আমি পালিয়ে যেতাম।”
সেই সময়ে দাউদ ইব্রাহিমের মতো গ্যাংস্টাররা বলিউড শাসন করতেন। টেবিলের নিচে চুক্তি হতো। এসব তথ্য উল্লেখ করে অনু আগরওয়াল বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পে যে সমস্ত অর্থ আসছিল, তা আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে আসছিল।”
বর্তমানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে কীভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আজকাল যে দৃশ্য দেখি, তা আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়। ৫-১০ বছর আগেও আমার কাছে এটি এত আকর্ষণীয় মনে হয়নি।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে অনু আগরওয়াল বলেন, “বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিবর্তন এসেছে। এমনকি দক্ষিণের চলচ্চিত্রগুলোও বড় হয়েছে। দর্শকদের সামনে অনেক অপশন, পছন্দমতো তারা বেছে নিতে পারেন। কেবল তারকাদের দেখে মানুষ সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।