কোন মাসে, কোন দিনে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন মেসি
Published: 20th, May 2025 GMT
লিওনেল মেসি আর গোল—সমার্থক শব্দ বলাই যায়। ক্যারিয়ারে গোল তো আর কম করেননি আর্জেন্টাইন জীবন্ত কিংবদন্তি। বছরের কোন কোন দিন মেসি গোল করেছেন, তার চেয়ে বরং কোন কোন দিন তিনি গোল করেননি, সেটি বের করাই সহজ। গোল করা দিনের তুলনায় গোল না করা দিনের সংখ্যা যে নগণ্যই।
১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর, এক বছরে দিন ৩৬৫টি। লিপ ইয়ারে সংখ্যাটা হয়ে যায় ৩৬৬। মেসি ম্যাচ খেলেছেন ২৯ ফেব্রুয়ারিতেও। তাই বছরের দিনের সংখ্যাটা ৩৬৬ ধরাই ভালো। এই ৩৬৬ দিনের মধ্যে ২৭৭ দিনই অন্তত ১টি গোল করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। যে ৮৯ দিন মেসি গোল পাননি, তার মধ্যে আছে ১৮ মে দিনটিও। কাল (বাংলাদেশ সময় গতকাল ভোরে) সেই ‘অপূর্ণতা’ দূর করার সুযোগ ছিল মেসির। তবে মেজর লিগ সকারের সেই ম্যাচে অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন মেসি, তাঁর অন্য কোনো সতীর্থও গোল পাননি। মেসিরা ম্যাচটি হেরেছেন ০-৩ গোলে।
৮৬০আর্জেন্টিনা ও ক্লাবের হয়ে মেসির গোল।এই ম্যাচটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ১১০০তম ম্যাচ। এই ১১ শ ম্যাচে আর্জেন্টিনা ও ক্লাবের হয়ে মেসি গোল করেছেন ৮৬০টি।
বছরের ৮৯ দিনে কোনো গোল করতে পারেননি মেসি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল কর ছ ন আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল