বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি।’
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন ইশরাক হোসেন।
ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠির পরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
পরে বিকেল চারটার দিকে কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিস্থলে যান ইশরাক। সেখানে তিনি অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের রায় শোনার পর আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত রাখব। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে যে তারা (সরকার) কী করে। তাদের যে কর্মকাণ্ড, সেটার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা আসবে।’’
শুক্রবার সকালে ইশরাক তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছেন, “জনতার মেয়র হিসেবে তাঁর দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে।”
ইশরাক তাঁর ফেসবুক পোস্টে উত্তর সিটির মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্ব পালনেও সহযোগিতা করবেন বলে লেখেন।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোনভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেবেন বলে উল্লেখ করেন ইশরাক।
তিনি পোস্টে লেখেন, ১৬ ঘণ্টার মধ্যে একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। দক্ষিণের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি নিজেও থাকবেন।
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আসামে বাঘ হত্যা
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামের গোলাঘাট জেলায় একটি রয়েল বেঙ্গল বাঘকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। হত্যার পর বাঘটির চামড়া ছিলে নেওয়া হয়েছে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে কান ও দাঁত। বন বিভাগের কর্মীদের বরাতে এ খবর জানা গেছে।
গোলাঘাটের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে বাঘটি তাদের গবাদি পশু হত্যা করছিল এবং তাদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠছিল। এ জন্য তারা বাঘটি হত্যার পদক্ষেপ নেয়। এ ঘটনায় আসাম রাজ্যের বন বিভাগ একটি মামলা করেছে। চলতি বছর এটি তৃতীয় বাঘ হত্যার ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গত বুধবার একটি ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটি। গ্রামবাসী একে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। এর পর লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে। এতে বাঘটি মারা যায়। বিবিসি।