নির্বাচনের সঙ্গে গণহত্যা ও শেখ হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চান
Published: 23rd, May 2025 GMT
বিএনপির উদ্দেশ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারের রোডম্যাপ চান, দেশের মৌলিক সংস্কারের রোডম্যাপ চান, জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চান।’
আজ শুক্রবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, আজ বিএনপির সালাহউদ্দিন ভাই বলেছেন, ‘চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া। এই মুহূর্তে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। সেই হিসেবে তাদের কাছে আমাদের এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের দায়বদ্ধতাও সবচেয়ে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘সমাধানের একমাত্র পথ হিসেবে যখন নির্বাচনী রোডম্যাপের কথা বলা হয়; তখন জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করা সাধারণ জনগণ, শহিদ পরিবারের সদস্যরা, আহত যোদ্ধারা আশাহত হয়। কোটি মানুষ যে আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে ৫ আগস্টে জীবনের মায়া না করে রাজপথে নেমে এসেছিল; তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।’
সরজিস বলেন, ‘তাই, সালাহউদ্দিন ভাইসহ বিএনপির কাছে আহ্বান থাকবে, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারের রোডম্যাপ চান, দেশের মৌলিক সংস্কারের রোডম্যাপ চান, জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার বিচারের রোডম্যাপ চান।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির মত বড় দল সবকিছু বাদ দিয়ে খালি নির্বাচন নিয়ে কথা বললে; আমরা আশাহত হই, বাংলাদেশ আশাহত হয়।’
এদিকে আজ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ড.
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে যদি তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটিও তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে একান্তই যদি তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে। জনগণ বিকল্প বেছে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়। তবে আমরা আশা করি, তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবেন। আমরা চাই, জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। এ সময় নির্বাচন, করিডোর ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে স্বাগত জানান সালাহউদ্দিন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ এনস প স ল হউদ দ ন গণহত য র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে