চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জুন। এই পরীক্ষা সুষ্ঠু, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে শেষ করার জন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে মোট ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—  প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক এবং প্রতিটি কক্ষে কমপক্ষে দুইজন করে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ ও ছবি তোলা যাবে না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নদীভাঙন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় মানববন্ধন

শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে তিতুমীর কলেজে গণস্বাক্ষর

আরো বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করতে হবে। প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োজিত থাকবেন, তবে প্রতিটি কক্ষে সর্বনিম্ন দুইজন পরিদর্শকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন সকালে প্রাপ্ত এসএমএস অনুসারে নির্ধারিত সেট ব্যবহার করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খাম খোলা যাবে। অব্যবহৃত সেট অক্ষত অবস্থায় বোর্ডে ফেরত পাঠাতে হবে। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আনার সময় থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশ, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার ৩০ মিনিট পূর্বেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের পর কেউ এলে তার নাম, রোল নম্বরসহ বিস্তারিত রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষে সেটি বোর্ডে জমা দিতে হবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় বা জটলা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড থেকে সরবরাহকৃত নকল প্রতিরোধমূলক পোস্টার কেন্দ্রের প্রবেশপথে দৃশ্যমান স্থানে টানানোর নির্দেশনা রয়েছে।

প্রবেশপত্রে কোনো ভুল থাকলে তা চার কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শুধু এনালগ কাটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ষাকালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে যেন সমস্যা না হয়, এজন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র সঠিকভাবে গুছিয়ে বোর্ডে প্রেরণের বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। আলাদা সেটে সিকিউ ও এমসিকিউ উত্তরপত্র, ইংরেজি ভার্সনের জন্য পৃথক খাতা ব্যবস্থাপনাসহ সব বিষয়ে কঠোরভাবে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য অনলাইন তথ্য ব্যবস্থাপনায়ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার শেষাংশে বোর্ডের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালাও যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস পর ক ষ র থ ব যবহ র ব যবস থ র জন য প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

কলেজশিক্ষক নাদিরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির

নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। নাদিরা ইয়াসমিনকে হুমকি দেওয়া এবং চাকরিচ্যুত করার দাবির ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে তারা।

আজ শনিবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সংবাদমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে হুমকিদাতা ও হয়রানিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে অশালীন মন্তব্য, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাদিরা ইয়াসমিনের ন্যায়সংগত মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, তাঁর প্রতি উগ্র–প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আক্রমণের হুংকারকে তারা ধিক্কার জানায়।

বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাধীনতা এবং একজন নাগরিক হিসেবে ব্যক্তি মানুষের মতপ্রকাশ, সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর এমন আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর এক নগ্ন আঘাত।

স্বাধীন, নির্ভয়ে জ্ঞানচর্চা ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রত্যেক শিক্ষকের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, এই অধিকারকে কোনো হুমকি বা চাপের মুখে খর্ব করার অপচেষ্টা গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক।

বিবৃতিতে আরও বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনলাইন হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তাদের শিক্ষকের শিক্ষাগত স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুস্থির পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের অঙ্গীকারবদ্ধতা প্রমাণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে আল-কায়েদার ৫ সদস্য নিহত
  • ডেমরার আওয়ামীলীগ নেত্রী ইয়াবাসহ ফতুল্লায় আটক
  • ‘ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৬ ব্যক্তি
  • নারী সেজে ভিডিও বানাতেন চিকিৎসক স্বামী, কেন এমন অভিযোগ করছেন স্ত্রী
  • কলেজশিক্ষক নাদিরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির
  • ইবনে সিনা ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি, লিখতে হবে ১৫০ শব্দে প্রবন্ধ
  • গাজায় ত্রাণ ট্রাকের নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ওপর ইসরায়েলি হামলা
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশনে ডিপ্লোমা, আবেদন শেষ ২৫ মে
  • ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৯৩ জন নিহত