‘সূর্যোদয়ে তুমি’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘একবার যদি কেউ’, ‘যেও না সাথী’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘আমি তোমারই প্রেম ভিখারি’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘তেল গেল ফুরাইয়া’, ‘তোমরা কাউকে বলো না’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’-সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন আজ।

যদিও এ মুহূর্তে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন, তারপরও দেশবরেণ্য এই শিল্পীর ৮৫তম জন্মদিন আলাদাভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে চ্যানেল আই। আজ সকাল ৭টায় সংবাদের পর প্রচার করতে যাচ্ছে সৈয়দ আব্দুল হাদীর সাড়া জাগানো কিছু গান নিয়ে সাজানো ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব। সরাসরি সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে সৈয়দ আব্দুল হাদীকে গানে গানে শ্রদ্ধা জানাবে এ প্রজন্মের তিন তরুণ শিল্পী মহারাজা, আলাউদ্দিন ও শানু। এ ছাড়াও থাকছে সৈয়দ আব্দুল হাদীকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র।  

১৯৪০ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া সৈয়দ আব্দুল হাদী হতে চেয়েছিলেন একজন শিক্ষক। কিন্তু জীবনের গতিপথ বদলে গেছে গানের ভুবনে পা রাখার পর। কখনও ভাবতে পারেননি, শখের বশে গান গাইতে গিয়ে কণ্ঠশিল্পী পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবেন। তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর কণ্ঠ আর অনবদ্য গায়কি যখন শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেওয়া শুরু করে, তখন আর চলার পথ বদলে ফেলার সুযোগ পাননি। ততদিন নিজেও সংগীতের প্রেমে ডুবে গিয়েছিলেন। অনুভব করেছিলেন, শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের প্রতি তাঁর এক ধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সে কারণে নিরলস গান করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের আত্মজীবনীতেও এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি। 

একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত সৈয়দ আব্দুল হাদী। তিনি   শিল্পী হিসেবে শুধু গান গেয়ে যাওয়া নয়, সংগীত ভুবনে নতুন কিছু তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিষয়েও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

‘গানে গানে দেশে দেশে’ ও ‘স্মৃতিময় গানগুলো’ টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের গানগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শ্রোতা ও তরুণ শিল্পীদের। আরও আগে বিটিভির প্রযোজক হিসেবে ভিন্নধর্মী আয়োজনের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় শিল্পীদের পরিচিত করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

এ নিয়ে সমকালকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘সবার জীবনে একটা সময় আসে, যখন নিজের পরিবর্তে আগামী প্রজন্মকে নিয়ে ভাবতে হয়। আমি কতটুকু কী দিতে পেরেছি, আরও কিছু দেওয়ার আছে কিনা– সেই ভাবনার চেয়ে বড় হয়ে উঠে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কী করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই ‘গানে গানে দেশে দেশে’, ‘স্মৃতিময় গানগুলো’সহ আরও কিছু অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এবং আমাদের কালজয়ী গানগুলোর পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নতুন আয়োজনেও উৎস জুগিয়েছি নানাভাবে।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে শ্রোতার চাহিদা বদলে যায়। এজন্য শিল্পী থেকে শুরু করে গীতিকার, সুরকার, সংগীতায়োজক’ সবাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এই চেষ্টা থেকেই তো বিবর্তন। আমরাও চেষ্টা করছি, গানের কথা, সুর সংগীত এবং গায়কিতে সময়কে ধরে রাখার। একটা বিষয় সবসময় মাথায় রেখেছি, তা হলো গানে মেলোডি ধরে রাখা। কারণ, মেলোডি সুরের গানের চাহিদা কখনও ম্লান হয়নি।’ তার এই কথায় স্পষ্ট, দেশীয় সংগীতের সমৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যেতে চান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন প রজন ম কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জিৎ যেভাবে সিনেমায় এলেন

‘‘সিনেমায় আসার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস সাপ্লাইয়ে কাজ করতাম। আমার ছোট-খাটো একটা ব্যবসাও ছিলো। আর টুক-টাক মডেলিং করেছিলাম। এই করতে করতে বন্ধুরা ইন্সপায়ার করলো। ওরা বললো, বম্বে চলে যাও। এরপর বম্বে গেলাম । কিছু কমার্শিয়াল অ্যাড, মিউজিক ভিডিও করলাম। এরপর টলিউডে ‘সাথী’ হলো। তারপরে সব বদলে গেলো। তার মাঝখানে বন্ধুদের সামনে ছোট-খাটো মিমিক্রি করতে থাকতাম। কখনও রাজেশ খান্নার মতো ডান্স করতাম, আবার কখনও অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠ নকল করতাম। এখন যখন ভাবি তখন রিলেট করতে পারি, ওই কারণগুলো ছিলো বলেই আজ আমি সিনেমায়। এছাড়া সম্ভব হতো না।’’ – কথাগুলো বলছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ।

রচনা ব্যানার্জির উপস্থাপনায় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অনুষ্ঠানে এসে এই স্বীকারোক্তি দেন জিৎ। 

সম্প্রতি জিৎ যুক্ত হয়েছেন জীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’ সিনেমায়।

আরো পড়ুন:

সেলিম আল দীন স্মরণে ঢাকা থিয়েটার ও গ্রাম থিয়েটারের নাট্যোৎসব

ধূমকেতুর জন্য রাজের প্রতীক্ষা শেষ

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, ‘‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংহ। তার জীবনী অবলম্বনে সিনেমা পরিচালনা করছেন পথিকৃৎ বসু।  সিনেমার নাম ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’। নতুন এই সিনেমায় অভিনয় করবেন জিৎ।

লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটবল দলবিহীন শেষ দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহাসিক অভিষেক
  • জিৎ যেভাবে সিনেমায় এলেন