নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। নাদিরা ইয়াসমিনকে হুমকি দেওয়া এবং চাকরিচ্যুত করার দাবির ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে তারা।

আজ শনিবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সংবাদমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে হুমকিদাতা ও হয়রানিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে অশালীন মন্তব্য, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাদিরা ইয়াসমিনের ন্যায়সংগত মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, তাঁর প্রতি উগ্র–প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আক্রমণের হুংকারকে তারা ধিক্কার জানায়।

বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাধীনতা এবং একজন নাগরিক হিসেবে ব্যক্তি মানুষের মতপ্রকাশ, সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর এমন আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়, বরং সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর এক নগ্ন আঘাত।

স্বাধীন, নির্ভয়ে জ্ঞানচর্চা ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রত্যেক শিক্ষকের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, এই অধিকারকে কোনো হুমকি বা চাপের মুখে খর্ব করার অপচেষ্টা গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক।

বিবৃতিতে আরও বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনলাইন হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তাদের শিক্ষকের শিক্ষাগত স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুস্থির পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের অঙ্গীকারবদ্ধতা প্রমাণ করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের উপর ছাত্রদলের হামলা
  • সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
  • ‘ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে’ বনাম ‘যার যত ভোট, তার তত আসন’
  • বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল
  • সেপটিক ট্যাংকে মুঠোফোন তুলতে গিয়ে আটকে পড়েন একজন, অন্যরা যান উদ্ধার করতে
  • ট্রলের মুখে প্রসেনজিতের দুঃখ প্রকাশ
  • ফিরছে সুপারম্যান: ভিন্ন এক রূপে
  • এক কলেজে ৩ অধ্যক্ষ
  • এক কলেজে তিন অধ্যক্ষ
  • ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা