অনৈতিক কাজের অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে আটকের পর ছেড়ে দিল পুলিশ
Published: 24th, May 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে মমিন গাজী নামে এক ব্যবসায়ীকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তিনি একটি অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী।
উপজেলার এক ব্যবসায়ী জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি তাঁর মামাতো বোনের মেয়ে। তাঁর বাবার বাড়ি লালপুর উপজেলায়। বিয়ে হয়েছিল বগুড়ায়। শুক্রবার তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে রাত ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে আসেন।
রাতে মেয়েটির বাড়ি যাওয়ার যানবাহন না থাকায় তাঁকে বন্ধু মমিনের বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে জানতে পারেন, ভাগনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। আর ভাগনিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ব্যবসায়ী আরও বলেন, ভাগনির কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি রেখে আসার পর মমিন গাজী নেশা করে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে সে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মমিন গাজীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মমিন গাজীকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় আটক স ব স থ য কমপ ল ক স ব যবস য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে পুশইন ২১ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
পঞ্চগড়ের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া নারী-শিশুসহ ২১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতি পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের পুশইন করে।
পুশইন হওয়া ২১ জনের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া ও নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে ভারতের গুজরাটে বসবাস করছিলেন। তারা সেখানে বাসা বাড়ি ও ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
ভারত থেকে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। হঠাৎ করে আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে আমাকে আলাদা স্থানে ছেড়ে দেয়। আমার স্ত্রী ও সন্তান সেখানেই ছিল। তাদের কোনো খবর না নিতে পারিনি। পরে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তাদের ছবি দেখি। এরপর পঞ্চগড়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবারকে ফেরত পেয়েছি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুসহ ২১ জন আটকের পর ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে তাদের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করা হয়। তিনদিনের মাথায় প্রশাসনের মাধ্যমে সবাইকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পঞ্চগড় উপজেলা সদরের বড়বাড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৭ এর ১০নং নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে নারী, শিশুসহ ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।