নাটোরের বড়াইগ্রামে মমিন গাজী নামে এক ব্যবসায়ীকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তিনি একটি অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী।

উপজেলার এক ব্যবসায়ী জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি তাঁর মামাতো বোনের মেয়ে। তাঁর বাবার বাড়ি লালপুর উপজেলায়। বিয়ে হয়েছিল বগুড়ায়। শুক্রবার তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে রাত ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে আসেন।

রাতে মেয়েটির বাড়ি যাওয়ার যানবাহন না থাকায় তাঁকে বন্ধু মমিনের বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে জানতে পারেন, ভাগনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। আর ভাগনিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ব্যবসায়ী আরও বলেন, ভাগনির কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি রেখে আসার পর মমিন গাজী নেশা করে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে সে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.

ডলি রানী বলেন, ‘ভোরে পুলিশ মেয়েটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। থানায় মামলা না হওয়ায় ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার কোনো পরীক্ষা আমরা করতে পারিনি।’

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মমিন গাজীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বাড়িতে না থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে মমিন গাজীকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য় আটক স ব স থ য কমপ ল ক স ব যবস য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ