রাতে ‘মাকে হত্যা’, পরদিন ঘরের দরজা খুললেন পুলিশের ডাকাডাকিতে
Published: 24th, May 2025 GMT
যশোরে খালেদা খানম ওরফে রুমি (৫৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই নারীর পালিত সন্তান শেখ শামসকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত খালেদা খানম শহরের মনিহার প্রেক্ষাগৃহ–সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকার শেখ শাহজাহানের মেয়ে। তাঁর কোনো সন্তান না থাকায় তিন মাস বয়স থেকে শামসকে পালিত সন্তান হিসেবে বড় করেছেন তিনি। ফলপট্টি এলাকায় তাঁর দোতলা বিপণিবিতান আছে। ওই বিপণিবিতানের নাম পালিত সন্তানের নামে রেখেছেন ‘শামস মার্কেট’।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘শামস মার্কেট’-এর নিচতলায় দোকান। আর দ্বিতীয় তলায় খালেদা খানম থাকতেন। শনিবার সকাল থেকে ফলপট্টির দোকানিরা মোটরের লাইনে পানি না পেয়ে খালেদাকে ডাকাডাকি করেন। ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চলে যান। পরে আবার দুপুরে ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় দোকানিরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দেন। পরে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গিয়ে ডাকাডাকি করলে খালেদার পালিত ছেলে শামস দরজা খোলেন। এ সময় পুলিশ ও দোকানিরা খালেদার খোঁজ নিলে বাড়িতে নেই বলে জানিয়ে দেন শামস। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে খালেদার কক্ষের দরজার কাছে গেলে শামস দরজা খুলতে নিষেধ করেন।
পুলিশ জানায়, একপর্যায়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আগের রাত একটার দিকে মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন শামস। খালেদার কক্ষে মরদেহ রয়েছে বলে তিনি জানান। পরে স্বজনদের উপস্থিতিতে খালেদার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শামসকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত নারীর স্বজনেরা জানান, শামস মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে মাদকের টাকার জন্য মাকে প্রায় মারধর করতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এই ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোয়াপ কীসার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।