বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. সবুজ আকনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জনা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকনকে সংগঠনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
ডিআরইউতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলায় স্ত্রীসহ জাকির কারাগারে
ডিআরইউতে জাকির গ্রুপের হামলার ঘটনায় মামলা
কী কারণে সবুজ আকনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।
গত ১৯ মে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সবুজ আকনের বিরুদ্ধে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটি করেন ভুক্তভোগীর মা। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য মহানগরীর কাউনিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে বাদী ও ভুক্তভোগী অনেকটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকন বাবুগঞ্জ উপজেলার বকশির চর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান আকনের ছেলে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল বর শ ল জ ল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিআরইউতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ক্র্যাবের
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে সংগঠনটির সভাপতি আবু সালেহ আকনসহ কয়েকজন সাংবাদিককে আহত করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। আবু সালেহ আকন ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি।
বৃহস্পতিবার ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ এক বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।
ক্র্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার রাতে দেশি অস্ত্র, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জাকির হোসেন ও তাঁর অনুসারীরা ডিআরইউ কার্যালয়ে হামলা চালান। হামলাকারী জাকির হোসেন ও তাঁর অনুসারীরা আওয়ামী লীগের দোসর।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় ডিআরইউ সভাপতি ছাড়াও সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মাহিন, মফিজুল সাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হন। হামলাকারীরা ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ ‘টি স্টল’ নামের একটি দোকান গায়েব করে দেন।
ক্র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডিআরইউর সদস্য মশিউর রহমানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন ঘটনাস্থলে গেলে তার ওপরও হামলা চালানো হয়।