ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ এখন আর কোনোভাবে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে গেজেট প্রকাশের পর শপথ গ্রহণের নির্ধারিত সময়সীমাও পার হয়ে গেছে। ফলে ইশরাক হোসেনের আর শপথ নেওয়ার আইনি সুযোগ নেই।’’

তিনি অভিযোগ করেন, ইশরাক ও তার সমর্থকদের আন্দোলনের ফলে দক্ষিণ সিটির নাগরিক সেবা কার্যক্রম থমকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে নগর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপ জরুরি। ইশরাকের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আইন পরিপন্থী।’’

এ সময় আসিফ মাহমুদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন এবং একটি সমাধানের পথে এগোবেন।’’

চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশ করে। তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইনি জটিলতার কথা বলে এখনো তার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশর ক ব এনপ র শপথ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তাঁরা যতই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন, ততই বুঝতে পারছেন, এটি একটি ‘মেরুদণ্ডহীন’ প্রতিষ্ঠান।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোথায় কোথায় সমস্যা, তা তাঁরা জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। ইসি যে মেরুদণ্ডহীন একটি প্রতিষ্ঠান, তা তাদের কাজের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, আগে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার ভোট ‘নেওয়ার’ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা হচ্ছে। এনসিপি এখনো ইসির দুর্বলতা ও ভুলগুলো তুলে ধরে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাঁরা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখেছেন, এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাকে ও বাকিটুকু দলীয় পোশাকে আবৃত।

এই নির্বাচন কমিশনের অধীন এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আপাতত যে অবস্থায় আছি, সেটা আমরা বলেছি। যে গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারে নাই। এখনো ভোট নেওয়ার সিস্টেম নাই। যদি আমি ভোট নিতেই না পারি, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিতে আসে, আর আমাকে যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়, ভোট নেওয়ার জন্য, তো সেখানে যখন আমি বুঝব আমাকে ভোট নিতে দিবে না, সেখানে গত ১৫ বছরে তো অনেকে ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। যদি আমাকে ভোট না দিতে দেয় তারা, তাহলে আমি কেন অংশগ্রহণ করব? কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা এখনো অ্যান্ডিং প্রসেসে আসে নাই।’

নির্বাচন কমিশনকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে, দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং ভোট না দিতে চায়, তাহলে ফাইনালি হয়তোবা এ সিদ্ধান্তে যেতে আমরা বাধ্য হব।’

এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে এনসিপিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইসির কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। সে পর্যবেক্ষণগুলোর আলোকে কিছু নতুন ডকুমেন্ট তাঁরা আজ ইসির কাছে জমা দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ