কচুরিপানা দিয়ে জুতার অনুষঙ্গ তৈরি করেছেন বুটেক্সের ৪ শিক্ষার্থী
Published: 19th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে কচুরিপানা একটি পরিচিত সমস্যা। এই সাধারণ জলজ উদ্ভিদ উপদ্রব হিসেবে বিবেচিত হলেও একদল শিক্ষার্থী নতুন এক উদ্ভাবনী উপায়ে টেকসই পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে কচুরিপানাকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থী অন্বয় দেবনাথ, অর্ণব হালদার, ফারদীন বিন মনির ও তাশফিক হোসাইন কচুরিপানা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জুতার ইনসোল (ভেতরের সোল) ও বাইরের সোল তৈরি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মার্জিয়া দুলালের তত্ত্বাবধানে কচুরিপানা ও ফেলে দেওয়া ডেনিমের সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব এসব অনুষঙ্গ তৈরি করেছেন তাঁরা।
সমস্যা থেকে সমাধানঅন্বয় দেবনাথের বেড়ে ওঠা গ্রামীণ পরিবেশে। বাবা ব্যাংকার হওয়ার কারণে দেশের নানা প্রান্তে থেকেছেন। গ্রামের পরিবেশে থাকার কারণে কচুরিপানার সমস্যাটি কাছ থেকে দেখেছেন। কচুরিপানা সম্পর্কে অন্বয় বলেন, ‘এই অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদটি খাল–বিলের পানির চলাচলই ব্যাহত করে। একই সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল বলে প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কাজের শুরুর দিকে এই বিষয় আমাদের মাথায় ছিল। একই সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনশিল্পে ডেনিম উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ পানির ব্যবহার ও পরিবেশের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে আমরা ক্লাসে পড়েছি। এই দুটি সমস্যার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে বের করার পাশাপাশি বর্জ্য থেকে কার্যকরী ও টেকসই পণ্য তৈরির জন্য কাজ শুরু করি আমরা।’
মার্জিয়া দুলাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এমন টেকসই উদ্যোগ অনুপ্রেরণার। পড়ালেখার অংশ হলেও শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে এই কাজ করেছে। ল্যাব থেকে এখন পুরো কাজটি বাণিজ্যিক আকারে তৈরির জন্য আরও কাজ করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ উদ্ভাবনের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের এমন টেকসই উদ্ভাবন আমাদের স্থানীয় ও বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের নতুন সুযোগ করে দিচ্ছে।’
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি জুতার সোল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য পর ব শ সমস য ট কসই
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট