জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থাপিত ব্যাখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি এই ব্যাখ্যাকে ‘আইনিভাবে ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছেন।

চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলাকে ‘অবৈধ এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে ইরান। একইসঙ্গে জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের আওতায় আত্মরক্ষার অধিকার দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের হত্যা’ বলে অভিহিত করা হয়।

চিঠিতে ইরাভানি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাধারণ সম্মেলনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ‘শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যে কোনো ধরনের হামলা কিংবা হামলার হুমকি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও যাচাই প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করে’।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাযা কাল্লাসও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যে কেউ বলপ্রয়োগ করলে তাকে আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে ন্যায়সঙ্গতভাবে তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

হামলাটি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা বৈধ— এই প্রশ্নের জবাবে কায়া কাল্লাস বলেন, শতভাগ বৈধ বলা যায় না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র

এছাড়াও পড়ুন:

রাবি ক্যাম্পাস সংস্কার ও রাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস সংস্কার ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলক চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ফয়সালের সঞ্চালনায় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মেহেদী হাসান, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান নাজির বক্তব্য দেন। 

সমাবেশে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘গত একত্রিশ বছর ধরে ক্যাম্পাসে রাকসু নির্বাচনের মত একটা সম্মানজনক ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান প্রশাসন শুধু কথা দেওয়ার রাজনীতি করছে। যত কথাই বর্তমান প্রশাসন দিয়েছে তার একটাও তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা আওয়ামী লীগের মতো কথা দেওয়ার সাংস্কৃতি বন্ধ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা প্রচ্ছন্ন শক্তি রাকসু নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। এরা কোনো নির্দিষ্ট দলের বা মতের নয়। ক্যাম্পাসে এমনও শিক্ষক রয়েছে; যারা চায় না তাদের পাশে এসে ছাত্ররা বসুক। এজন্য তারা রাকসু নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে চায়। তাদেরকে আমরা চিনে রাখছি। রাকসু নির্বাচন যদি না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান নাজির বলেন, ‘আপনারা জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসন। ফ্যাসিস্টদের সরিয়ে আমরাই আপনাদের এই চেয়ারে বসিয়েছি। আপনারা দুই হাজার শহীদের রক্তের ওপর বসে আছেন। কিন্তু আপনাদের আচরণ সেই ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের মতোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, আপনারা ছাত্রবান্ধব প্রশাসন হন। এটা না হলে ছাত্ররা ফ্যাসিস্টদের যেভাবে সরিয়েছে, আপনাদের সরাতে দুবার ভাববে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ