ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত থেমে গেলেও ভারতের অপারেশন সিঁদুর থামেনি। পরবর্তীতে এ নিয়ে নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রথম বিতর্ক শুরু হয় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অপারেশন সিঁদুরসংক্রান্ত একটা মন্তব্যকে ঘিরে।

জয়শঙ্কর এক বক্তব্যে বলেন, ‘পাকিস্তানে “সন্ত্রাসী অবকাঠামোয়” হামলার আগে তাদের অবহিত করা হয়েছিল।’ এমন বক্তব্য প্রকাশ পাওয়ার পর কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো থেকে মোদি সরকারের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘হামলার আগে পাকিস্তানকে সবকিছু জানিয়ে দিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও সেনাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে।’ আম আদমি পার্টির নেতা ও রাজ্যসভার এমপি সঞ্জয় সিং বলেন, ‘পাকিস্তানকে আগে জানানো দেশদ্রোহের শামিল। এটি ক্ষমার অযোগ্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতীয় টিভি ও সংবাদমাধ্যমগুলোয় যুদ্ধের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কোরেশি ও উইং কমান্ডার ভয়মিকা সিং। তাঁরা দুজনই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র হিসেবে যুদ্ধে অগ্রগতি ও সাফল্যের বিবরণ দিতেন। বলা বাহুল্য, কর্নেল সোফিয়া কোরেশি একজন মুসলমান।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে হামলা করে ভারতের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা হলো২৯ মে ২০২৫

কর্নেল কোরেশির ধর্ম ও মোদির যুদ্ধের ‘সাফল্য’ নিয়ে তীক্ষ্ণ কটাক্ষ করেন মধ্যপ্রদেশের এক মন্ত্রী—কুওয়ার শাহ। বলা যায়, এক ঢিলে দুই পাখি। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরে মোদি পাকিস্তানেরই এক বোনকে দিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছেন।’

শাহ এখানে যুদ্ধের সময় কর্নেল কোরেশির জোরালোভাবে ভারতীয় ‘সাফল্য’ নিয়ে উপস্থাপনাকে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। মন্ত্রীর এ মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিচার বিভাগকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। মন্ত্রীর মন্তব্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে মোদির জয় যুদ্ধে নয়, প্রচারে। তবে এটাও সত্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত যত না যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের লড়াই, তার চেয়েও বেশি প্রচারের মাধ্যমে বিজয়ের স্নায়বিক লড়াই।

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর এই বিতর্ক থামতে না থামতেই ভারতের প্রথম স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস প্রথম পাতায় প্রতিবেদন করে যে মোদির দল শিগগির বিজেপির ১১ বছর শাসনক্ষমতার উদ্‌যাপন উৎসব শুরু করবে। তাতে কর্নেল কোরেশি ও উইং কমান্ডার এক বড় ভূমিকা পালন করবেন। সরকারের জোরালো অস্বীকৃতির মুখে ইন্ডিয়ান টাইমসকে এ খবর প্রত্যাহার করতে হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পরই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি, অপারেশন চলমান।’ এখন মনে হচ্ছে, তিনি ঠিকই বলেছিলেন। তবে তিনি যে অপারেশন সিঁদুরকে চলমান রেখে ভারতীয় রাজনীতির মাঠে টেনে আনবেন, তখন তা কেউ ধারণা করেনি।

কিন্তু তাঁদের দুজনকে নিয়ে প্রচারণা চলছেই; বিশেষ করে কর্নেল কোরেশিকে নিয়ে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রেসিডেন্ট জামাল সিদ্দিকি বলেছেন, কর্নেল কোরেশি মুসলমান নারী ভোটারদের মধ্যে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন। হিন্দুস্থান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, কর্নেল সোফিয়া কোরেশির মা–বাবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গুজরাটে এক রাজনৈতিক পথসভায় অংশগ্রহণ করেছেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিঁদুর কতটুকু সফল হয়েছে, তা নিয়ে ভারতের ভেতরে ও বাইরে যথেষ্ট তর্কবিতর্ক আছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতীয় বিরোধী দলগুলো লোকসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে যুদ্ধের ফলাফল ও কেন যুদ্ধ হঠাৎ বন্ধ করা হয়েছে, তা নিয়ে আলাপ–আলোচনা করতে লোকসভার বৈঠক ডাকতে বলেছিল। কিন্তু মোদি সরকার তাদের অনুরোধ বাতিল করে দিয়েছে।

সরকার অবশ্য অপারেশন সিঁদুরের কৃতিত্ব নিয়ে তাদের জয়বাদ্য অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মোদি সরকার খুব শিগগির ভারতীয় নারীদের মধ্যে উপহার হিসেবে সিঁদুরের কৌটা বিলির পরিকল্পনা করবে।

আরও পড়ুনভারতের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া নতুন ‘যুদ্ধ’২৫ মে ২০২৫

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন। গত দুটি নির্বাচনে মোদির দল বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেনি। এবার তাদের সুযোগ, অপারেশন সিঁদুরের ‘সাফল্য’ দিয়ে যদি পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের মন জয় করা যায়। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় অপারেশন সিঁদুরের রণক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র মোদিবিরোধী। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধের নামকরণ ‘সিঁদুর’ রাখায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, অপারেশনের নাম ‘সিঁদুর’ করা হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে। মমতা বলেছেন, ‘এই নামকরণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচার দেশে বিভাজন তৈরি করছে। নির্বাচন উপলক্ষে সেনা অভিযানের নাম নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলছেন তিনি।’

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক গুরুতর মন্তব্য প্রকাশ পায়। তিনি মোদিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আমরা সিঁদুরকে সম্মান করি। আপনি সব ভারতীয় নারীর স্বামী নন যে তাঁদের সিঁদুর বিলাতে পারেন। আপনি তো নিজের স্ত্রীকেও সিঁদুর পরান না। এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক।’

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর অস্ত্র ২৮ মে ২০২৫

এখানে উল্লেখ করা যায়, মোদি যদিও তাঁর মা-বাবার অনুরোধে ১৯৬৮ সালে ১৮ বয়স বয়সে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর স্ত্রী যশোদা বেন মোদির সঙ্গে এক দিনের জন্যও সংসার করেননি। শ্রীমতী যশোদা বেন গুজরাটের একটা ছোট্ট গ্রামে ভাইয়ের সংসারে থাকেন এবং স্থানীয় স্কুলে মাস্টারি করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এ ঘটনাকে স্মরণ করে এই কথাগুলো বলেন।

পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য অন্য প্রসঙ্গে মমতার সমালোচনা করলেও নিজের স্ত্রীকে সিঁদুর পরানো নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘সিঁদুর খেলার পবিত্র ভূমি থেকে আমি বলছি যে আমরা এখন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন সংকল্প ঘোষণা করছি।’ সিঁদুর খেলা বলতে তিনি পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার সময় সিঁদুর-রঙের হোলি খেলা হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

মোদির পরই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় আসেন। সিঁদুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব সমালোচনা করেন, তার উত্তরে শাহ এক জনসভায় বলেন, ‘সিঁদুরের অপমান করার মানে কী, আগামী নির্বাচনে বুঝিয়ে দিন মমতাকে!’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি বাংলার মাতৃশক্তির কাছে অনুরোধ করছি, আগামী নির্বাচনে অপারেশন সিঁদুরের ওপর প্রশ্ন তোলা মমতাজিকে সিঁদুরের দাম বুঝিয়ে দিন। মা-বোনেরা বুঝিয়ে দিন, সিঁদুরের অপমান করার অর্থ কী!’

আরও পড়ুনমোদির ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ ভারতকে আরও বিপদে ফেলবে১৫ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার ও ব্লুমবার্গস প্রকাশ করেছে, ভারতীয় যৌথ বাহিনীর প্রধান অনিল চৌহান সিঙ্গাপুরে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান খোয়ানোর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দিকে ৭ মে আমাদের যুদ্ধবিমান হারাই। কয়টা হারিয়েছি, সেটা জরুরি নয়। গুরুতর ব্যাপার হলো, কেন হারিয়েছি?’ তার এই বক্তব্যে ভারতের বিজেপিপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো জেনারেল চৌহানের ওপর দারুণভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তিনি কেন বিদেশের মাটিতে এ নিয়ে কথা বলতে গেলেন, তা নিয়ে বিজেপি মহলে দারুণ সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে।

সামনেই কয়েক মাসের মধ্যে বিহারের বিধানসভার নির্বাচন, তারপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বিজেপি চাইছে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের বাজনা বাজিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলো পার করতে। কিন্তু তা বোধ হয় মোদির জন্য কঠিন হবে। কারণ, যুদ্ধের দুর্বলতাগুলো ধীরে ধীরে সামনে চলে আসছে। সেনাবাহিনীর ক্যামোফ্লাজ পোশাকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরে বেড়িয়েছেন, তা–ও বিরোধী মহলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, মোদি নিজের রাজনৈতিক কাজে এই যুদ্ধকে ব্যবহার করছেন।

ভারতীয় জনপ্রিয় ম্যাগাজিনে ফ্রন্টলাইনের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘মোদি জেনারেল নন। তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেন যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিচ্ছায়া নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রচারণা করছেন? যুদ্ধ ও ভোট এবং সৈনিক ও সরকারপ্রধানের মধ্যে ব্যবধান যদি মুছে যায়, তা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর পরই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি, অপারেশন চলমান।’ এখন মনে হচ্ছে, তিনি ঠিকই বলেছিলেন। তবে তিনি যে অপারেশন সিঁদুরকে চলমান রেখে ভারতীয় রাজনীতির মাঠে টেনে আনবেন, তখন তা কেউ ধারণা করেনি।

এখন মনে হচ্ছে, অন্তত বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পর্যন্ত ভারতের রাজনীতিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলবে। হয়তো বা তা পরবর্তীকালে অন্য রাজ্যগুলোর নির্বাচনেও গড়াবে।

সালেহ উদ্দিন আহমদ সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ই-মেইল: [email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন দ য প ধ য য় কর ন ল ক র শ র জন ত ক বল ছ ল ন স ব দম ধ র জন ত ত মন ত র র জন ত র বল ছ ন স ফল য প রক শ র সময় সরক র চলম ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

এক লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় ৮৫০ কোটি টাকা

দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ১ লাখ ১০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে সরকার। এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। 

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। 
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সভার অনুমোদনক্রমে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দেশটি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ৩৮৫.৫০ মার্কিন ডলার।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীন থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। 

বিএডিসি ও চীন এর মধ্যে ১০ জানুয়ারি সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি কর্তৃক সৌদিআরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে সৌদিআরব থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মে. টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫১ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ৭১৫ মার্কিন ডলার।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ