কড়াই গাছের ভেতরে আগুন জ্বলছে, উৎসুক জনতার ভিড়
Published: 1st, July 2025 GMT
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা রেলস্টেশনে পুরাতন একটি গাছের গোড়ায় ভিতরে আগুন জ্বলতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় গাছের উপরের ডালের ফুটো দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় রমনা রেলস্টেশনে প্রায় ৫০ বছরের পুরনো একটি শিল-কড়াই গাছের ভেতর দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন দুই জন মুসল্লি। পরে গাছের কাছে গিয়ে দেখতে পান, গোড়ার ভিতর আগুন জ্বলছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষ গাছের কাছে এসে ভিড় জমায়। সকাল সাড়ে ১১দিকে গাছটি ভেঙে পড়লে গাছের ভেতরে আগুন জ্বলার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার উল্টে আহত ৫
প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী
খবর পেয়ে আগুন দেখতে আসা আলামিন জানান, এমন ঘটনা এর আগে চোখে পড়েনি। কীভাবে গোড়ার ভিতরে আগুন আসল, আর কীভাবে উপরের ডাল দিয়ে ধোঁয়া বের হতে থাকল? দেখে অবাক লাগছে।
চিলমারী রমনা রেলস্টেশন অফিস রুমের দক্ষিণ পাশে অবস্থান শিল-কড়াই গাছটির। এ গাছের ছায়ায় সময় কাটান ট্রেনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা। কিন্তু জীবন্ত গাছের গোড়ার ভিতরে আগুন জ্বলতে এবং ডালপালা দিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার ঘটনা দেখে হতবাক হন তারা।
রমনা এলাকার বাবলু মিয়া বলেন, ‘‘খবর পেয়ে এসে দেখি ঘটনা সত্য। গাছটি পুরনো হওয়ায় গোড়ার ভিতর ফাঁকা হয়ে গেছে। এখানে কেউ আগুন দিয়েছে কি-না তা জানা যায়নি।’’
সকালে গাছে আগুন লাগার খবর শুনে ছুটে আসেন চিলমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ফিরে যায় তারা। পরে গাছটি ভেঙে পড়লে আবার এসে আগুন নেভায়।
চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার ফারুক হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনা শোনার পর সকালে এসে দেখি গাছের ভেতরে আগুন জ্বলছে। পরে গাছের ডালের ধোঁয়া বের হওয়া ফুটোয় পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেছি। পরে যখন গাছটি ভেঙে পড়ে তখন এসে আগুন নেভানো হয়। তবে গোড়ার ফাঁকা জায়গায় কেউ আগুন দিয়েছে কি-না তা জানা যায়নি।’’
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর রমনা রেল স্টেশনের জায়গায় অন্যান্য গাছের সঙ্গে শিল-কড়াই গাছটি রোপন করে রেল কর্তৃপক্ষ।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, ‘‘গাছটি রেলওয়ের জায়গায়। খবর পেয়ে আমি সকালে গিয়েছিলাম। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সব দিক থেকে চেষ্টা করেও আগুন নেভানো যায়নি। গাছটি ভেঙে পড়লে আগুন নেভানো হয়। বিষয়টি রেলওয়ে ও বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।’’
ঢাকা/সৈকত/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন আগ ন ন ভ ন গ ড় র ভ তর গ ছ র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”
আরো পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”
তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন
ঢাকা/রফিক