কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে রূপসা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ
Published: 1st, July 2025 GMT
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে রূপসা সেতুর (খানজাহান আলী সেতু) টোল প্লাজা অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় তারা সেতুর টোল প্লাজা আটকে দেয়। ‘সচেতন ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আন্দোলন হলেও সেখানে রূপসা উপজেলা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের কয়েকজনকে অংশ নিতে দেখা যায়।
এদিকে সেতুর টোল প্লাজা অবরোধের ফলে দুই পাশে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে আছে। বৃষ্টির মধ্যে ঘণ্টা ধরে আটকে থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহনের যাত্রীরা। রূপসা সেতুর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে গত বুধবার থেকে খানজাহান আলী সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন বৈষম্যবিরোধী একাংশ, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতে তারা রূপসা সেতু ব্লকেডের ঘোষণা দেয়।
এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ‘পুলিশ কমিশনার বিরোধী আন্দোলন মহল বিশেষের প্ররোচনায় হচ্ছে’ অভিযোগ তুলে কর্মসূচি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক অংশসহ সমমনা ৭টি সংগঠন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রূপসা উপজেলা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী টোল প্লাজার কাছে জড়ো হন। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলামকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিতে দেখা যায়।
পরে বিকেল ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদসহ কয়েকজন উপস্থিত হলে অবরোধ শুরু হয়। তখন বিএনপির সিনিয়র নেতারা চলে যান। আন্দোলনকারীরা ইজিবাইকের ওপর মাইক বেধে নানা স্লোগান দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) অবরোধ চলছিল।
আন্দোলনকারী সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।
গত মঙ্গলবার পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা। সুকান্তের বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও রাতে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে গত বুধবার আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ এবং কেএমপি সদরদপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা না হলে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানান। বুধবার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর ধ ন ত কর ম ব এনপ র ক এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী