বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব: নাহিদ
Published: 1st, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ““ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য এক দলকে সরিয়ে আর এক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি, গণঅভ্যুত্থান করেনি। এই নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের আর কোনো সুযোগ দেব না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব।”
মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আপনারা যে কথা বলবেন নির্ভয়ে বলবেন। আমাদের যে ভয় ছিল ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সেই ভয় কেটে গেছে। নতুন করে আর কোনো ভয়ের সংস্কৃতি এই দেশে গড়ে উঠতে দেব না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা রক্ত দিয়েছেন। আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে আমরা আবারো রক্ত দেব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে।”
আরো পড়ুন:
আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ
অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন: বিবিসি বাংলাকে নাহিদ
তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি ও হামলা করেছিল সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখানো বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করছে। ভারতে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছেন, হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন কিসের জন্য? একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য। যে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে। যে বাংলাদেশে কথা বলতে গেলে পুলিশ আপনাকে বাধা দেবে না, আপনি মত প্রকাশ করতে গেলে পুলিশ আপনার ওপর লাঠিচার্জ করবে না, গুলি করবে না। আপনি কথা বলতে চাইলে কথা বলবেন। প্রতিবাদ করবেন।”
তিনি বলেন, “আমরা জানি রংপুর বিভাগের দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা নতুন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, রাজপথে নেমেছি। ২০২৪ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলাম, উৎখাত হয়েছে, পতন হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনো গঠন হয়নি।”
এসময় অন্যদের মধ্যে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড.
সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। পরে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক হয়ে রংপুরে ফিরে যান এনসিপি নেতারা।
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এলে তাদের ফুল দিয়ে স্থানীয় নেতারা শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট য গ ম ম খ য স গঠক গণঅভ য ত থ ন এনস প র র জন য দ শ গড়
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লবের এক বছর: ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় জেলা ছাত্রদল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঝালকাঠি শাখা ও বিভিন্ন মিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনের বার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘গণশক্তির জাগরণে’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনামলের অবসান ঘটে।
মোমবাতি প্রজ্বলনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ইমরান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রাইয়ান শাইয়ান।
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার এই নবজাগরণ দেশকে দিয়েছে এক নবযুগের সূচনা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের এক বছর পূর্তিতে আমাদের প্রত্যয়- ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার, জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করা।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ