পুঁজিবাজারে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের অবৈধ শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো.

ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক রেজাউন নূর মেহেদী।

আরো পড়ুন:

ইতিবাচক লেখনিতে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার: ডিবিএ সভাপতি

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়। বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে। কী উদ্দেশ্যে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে এত বড় অংকের শেয়ার ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।

কোম্পানির বোর্ড ড্যাফোডিল পরিবারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার বিপরীতে শেয়ারে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ৪.৬৭ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয় ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ, যা বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে করার কথা ছিল। তবে, এর আগে কোম্পানিকে এ বিষয়ে এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোম্পানি তা করেনি। ফলে, অবৈধভাবে শেয়ার ইস্যু করার হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারহোল্ডাররা।

বিএসইসির তদন্তের আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দিয়েছে যে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করেছে। তাই, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি।

এমতাবস্থায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৫৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.২৪ টাকা।

শেয়ার ধারণ পরিস্থিতি
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৪১.৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৪.১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.১০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এ কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি ঋণ আছে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত সোমবার (৩০ জুন) কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকায়।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ড্যাফোডিল পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি আইটি সলিউশন, কম্পিউটার অ্যাসেম্বলিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ব্যবসা করে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রহ ল ড র ব এসইস র র পর চ ১০ ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

আপগ্রেড হচ্ছে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, সক্ষমতা বাড়ছে বিএসইসির

পুঁজিবাজারে অনিয়ম ও কারসাজি রোধ করতে এবার নিজস্ব অর্থায়নে নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স সক্ষমতা বাড়াচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার বা সিস্টেমের হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার হালনাগাদকরণের (আপগ্রেড) মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে আগামীতে নজরদারিতে দুই-তিন গুণ সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করে কমিশন।

বিএসইসি ২০১২ সালেরে শেষে দিকে সুইডেনের কোম্পানিস ট্র্যাপেটসের কাছ থেকে “ইনস্ট্যান্ট ওয়াচ মার্কেট” সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার গ্রহণ করে। এটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায়, সরকারের পুঁজিবাজার গভর্ন্যান্স উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা করা হয়। তবে সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারটি স্থাপন করার পর থেকেই এখন পর্যন্ত এর কোনো হালনাগাদকরণ করা হয়নি। ফলে প্রযুক্তিগতভাবে এটি পুরোনো ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

তাই ডাটা সেন্টার তৈরির মাধ্যমে এরইমধ্যে হার্ডওয়ারের সক্ষমতা বাড়িয়েছে বিএসইসি। এতে বড় ধরনের লেনদেন বা তথ্য দীর্ঘদিন সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সফটওয়ার উন্নত করার মাধ্যমে নজরদারির গতি বাড়বে। এর ফলে কারসাজি শনাক্তকরার পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করে কমিশন।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন পুঁজিবাজারের সার্ভিল্যান্স সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে।

জানা গেছে, পুঁজিবাজারে কারসাজিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নামে-বেনামে বিও হিসাব খুলে, কয়েকজন মিলে লেনদেন করে শেয়ারের দাম কমানো ও বাড়ানো। বিগত সময় এসব কারসজি বেশিরভাগ নজরে আসলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবার বেনামে হওয়ায় অনেক কারসাজির সঠিক তথ্য বের করা যায়নি। তবে এবার সেই নজরদারি বাড়াতে সার্ভিল্যান্স সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বিএসইসি। 

গত ১৫ বছরে শেয়ারের সিরিয়াল ট্রেডিংসহ নানান ধরনের কারসাজি ছিল সহজ ও সাধারণ বিষয়। সে সময় ব্রোকারেজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ব্যাংকসহ খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার লোকজনের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঢিলেঢালা নজরদারি ও দায়সারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীকে তাদের কষ্টের টাকা পুঁজিবাজারে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। 

গত বছরের ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়, “ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতারণা, কারসাজিসহ প্লেসমেন্ট শেয়ার এবং আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে প্রভাবশালী উদ্যোক্তা গোষ্ঠী, ইস্যু ম্যানেজার, নিরীক্ষক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কারসাজির একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। বাজারের মধ্যস্থতাকারী দেউলিয়া হয়েছে, তাদের ইক্যুইটি ৩০ হাজার কোটি টাকা নেতিবাচক হয়েছে। যারা ব্যাংক খাতের অপরাধী, তারাও পুঁজিবাজারে আস্থা নষ্ট করার পেছনেও ছিল। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি স্বার্থান্বেষী মহলের হস্তক্ষেপের কারণে নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তে কয়েকশ কোটি টাকা মুনাফার তথ্য থাকলেও জরিমান করা হয়েছে মাত্র কয়েক কোটি টাকা‌।”

শেয়ার কারসাজির বিষয়ে শ্বেতপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “বেশ কিছু প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের মধ্যে একের পর এক লেনদেন করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ায়। তারা ‘টার্গেটেড’ কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন করে, যেখানে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনেন। এভাবেই ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের সক্রিয় চেহারা দেখানো হয়। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় এমনভাবে কারসাজি করা হয়, যাতে কোম্পানির মূল্যায়ন বোঝা না যায়।”

সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার উন্নত করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বিএসইসির নিজস্ব অর্থায়নে সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আগের থেকে বেশি সক্ষমতা ও নজরদারি বাড়বে। বিভিন্ন ধরনের সতর্কীকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে ২৭ ধরনের সতর্কবার্তা পাওয়া যায়। আগামীতে সেটা বেড়ে ৬৩ ধরনের সতর্কবার্তা দেবে। বর্তমানে ব্যবস্থাপনা বা নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে ড্যাশবোর্ড না থাকালেও আগামীতে তা যুক্ত করা হচ্ছে। ওই সব তথ্য সার্ভিল্যান্স সফটওয্যারে জমা থাকবে। ফলে সময়ে সময়ে সেগুলো দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে বিএসইসি।”

তিনি আরো বলেন, “আগে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ওপর ১৪ ধরনের প্রতিবেদন পাওয়া যেত। তবে সফটওয়ার উন্নত করার ফলে সেটা আগামীতে ২৮ ধরনের প্রতিবেদন দিবে। বর্তমানে শুধু বিও হিসাব দিয়ে খোঁজ করার সুযোগ রয়েছে, যা আগামীতে একাধিক বিও, নাম, ভোটার আইডি, বাবা-মা এর নামসহ আরো বেশিকিছু বিষয়েও কারসাজির তথ্য বের করা যাবে। স্বতন্ত্র ব্যবহারকারী আইডি দেওয়া হবে, যাতে একজন ব্যবহারকারী কী কী কাজ করেছে সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এতে তথ্য চুরি বা পাচারের যে অভিযোগ রয়েছে তা আর হবে না। কারণ যেকোনো সময় জানা যাবে যে, তথ্য চুরি কে করেছে। আর সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে বাজার যত বড় হোক না কেন আগামীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”

এদিকে, বিএসইসির নজরদারির সক্ষমতা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “আগামীতে প্রয়োজনে ডিএসইও তার সক্ষমতা বাড়াবে। তবে শুধু সক্ষমতা বাড়ালেই হবে না। যারা এই জায়গায় থাকবে তাদেরকেও বাজারের জন্য কাজ করতে হবে। কারণ এর আগে দেখা গেছে বর্তমান যেই সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে অনেক কারসাজি ধরা পড়লেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী।”

বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স বিভাগ পুঁজিবাজারে লেনদেন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে, যাতে বেআইনি শর্ট সেলিং, ইনসাইডার ট্রেডিং, বাজার কারসাজি এবং অন্যান্য বাজার অপব্যবহারসহ যেকোনো ধরনের বাজার অসদাচরণ প্রতিরোধ ও সীমিত করা যায়। এই কাজের জন্য তারা ইনস্ট্যান্ট ওয়াচ মার্কেট সার্ভিলেন্স সিস্টেম থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন সতর্কবার্তা (অ্যালার্ট) পরিচালনা করে। বিএসইসির সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার একটি স্বয়ংক্রিয় বাজার পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম, যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন, অর্ডার, এবং সংবাদগত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহভাজন কার্যক্রম শনাক্ত করতে পারে। অ্যালার্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি ইনসাইডার ট্রেডিং, বাজারে প্রভাব বিস্তার, অস্বাভাবিক কার্যক্রম শনাক্ত করে এবং তথ্য লিপিবদ্ধ করে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না সিএসই
  • আপগ্রেড হচ্ছে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, সক্ষমতা বাড়ছে বিএসইসির