ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৩ জনে। গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৬ জন। নতুন রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৩ জন বরিশাল বিভাগের।
এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৮, ঢাকা বিভাগে ৭৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯, খুলনা বিভাগে ১৬ এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৬৮২ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ২৩০ রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২৩ এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯০৭ জন।
বরগুনায় দুই মাসে ২ হাজার ৮৫৫ জন আক্রান্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত মে ও জুনে বরগুনায় ২ হাজার ৮৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা, অপরিকল্পিত পানি সংরক্ষণ এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে এখানে এডিস মশার বংশ বিস্তার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বরগুনায় মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কাজ করছে ব্র্যাক
মঙ্গলবার ব্র্যাক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে ব্র্যাক। তাদের একটি বিশেষ টিম এডিস মশার উৎসস্থলে ধ্বংস করছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে। ১৭ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫১০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ২ হাজার ১৪১টি সক্রিয় প্রজননস্থল চিহ্নিত ও ধ্বংস করা হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে