আপনি কি পিকক প্যারেন্ট? মিলিয়ে নিন বৈশিষ্টগুলো
Published: 2nd, July 2025 GMT
সন্তান লালন–পালনের নানান ধারার কথা শোনা যায় আজকাল, তবে সব ধারাই শিশুর জন্য ইতিবাচক নয়। ‘পিকক প্যারেন্টিং’ এমন একটি ধারা। নিজের অজান্তেই হয়তো এই ধারার চর্চা করে সন্তানের ব্যক্তিত্বের বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আপনি। কারা পিকক প্যারেন্ট, কী তাঁদের বৈশিষ্ট্য, আর কীভাবেই–বা এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ও যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা.
টুম্পা ইন্দ্রানী ঘোষের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক।
নার্সিসিস্ট বা আত্মপ্রেমী একজন মানুষ যখন সন্তান লালন–পালন করেন, তখন তিনিই হয়ে ওঠেন পিকক প্যারেন্ট। সন্তানকে সব জায়গায় সেরা দেখতে চান তিনি। সন্তান লালন–পালনের বিষয়ে নিজের ধারণার বাইরে যেতে চান না। অন্য কারও পরামর্শ গ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিজেকেই গুরুত্ব দেন সবচেয়ে বেশি। ভাবেন, তিনিই সেরা। সন্তান লালন–পালনেও সেই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটে। বুঝতেই পারছেন, নিজেকে জাহির করার প্রবণতা থাকে তাঁর মধ্যে। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চান। অন্যের আবেগের গুরুত্ব খুব একটা থাকে না এ ধরনের মানুষের কাছে। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের আবেগের চেয়ে সন্তানকে ‘সেরা’ হিসেবে দেখার প্রতিই জোর দেন তিনি। সাফল্যের জন্য অকারণ চাপ সৃষ্টি করেন তার ওপর। সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও করেন। সন্তানের সঙ্গে অন্য কারও সুসম্পর্ক দেখলে তাঁর হিংসাও হতে পারে।
সন্তানের ওপর যে প্রভাব পড়েসবেতেই ‘সেরা’ হওয়ার প্রত্যাশা পূরণ করা কঠিন। ফলে পিকক প্যারেন্টের সন্তান মানসিকভাবে বেশ চাপে থাকে। অত্যধিক চাপের কারণে হাসি-আনন্দমাখা ঝলমলে শৈশব থেকে সে বঞ্চিত হতে পারে। নিজের সাফল্যের বিষয়ে উদ্বেগ কাজ করতে পারে এমন সন্তানদের মধ্যে। অভিভাবকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারে সে। সন্তানের ব্যক্তিত্ব বিকাশের ওপরও পিকক প্যারেন্টিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পারে তার ভাবনার জগৎ। তাই বড় হতে হতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য থেকেই বঞ্চিত হতে পারে একজন পিকক প্যারেন্টের সন্তান।
আপনার সঙ্গী কি পিকক প্যারেন্ট?যদি আপনার সঙ্গীর মধ্যে পিকক প্যারেন্টের বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে আপনার দায়িত্ব কিন্তু অনেক। একদিকে সঙ্গীকে সাবধানে ধরিয়ে দিতে হবে সন্তান লালন–পালনে তাঁর ভুলগুলো, অন্যদিকে আবার সন্তানের বিকাশ নিশ্চিত করতে তার কোমল মনের বাড়তি যত্নও নিতে হবে, কমাতে হবে তার মনের চাপ। তার ভাবনার জগৎটাকে বিস্তৃত করে দিতে হবে। তার মনের জানালাগুলো আপনাকেই খুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুনহেলিকপ্টার প্যারেন্টিং কী, না জেনে সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো?২৯ মার্চ ২০২৩নিজের ইচ্ছার চেয়ে সন্তানের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ১৯ হাজার ইয়াবাসহ একজন আটক, বড় মাদকের চালান জব্দ
খুলনা শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ ওমর ফারুক (৩৫) নামে একজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে হরিণটানা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক ওমর ফারুক সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পুস্পকাটি এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে যে মাদকের একটি বড় চালান খুলনা হয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। এরপর ইমাদ পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় এক যাত্রী বাস থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গত কয়েক বছরে খুলনায় এটিই সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান। এর আগে ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল রাতে ১৫ হাজার ৪২৫ পিস ইয়াবাসহ আরেকজনকে আটক করা হয়েছিল।
আটক ওমর ফারুককে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে মাদকচক্রের পেছনের গডফাদারদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।