সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে তৈরি হলো অফিস
Published: 8th, July 2025 GMT
একসময় ছিল সুইমিংপুল। চলত গোসল, সাঁতার কাটা। সেখানেই এখন দিব্যি চলছে অফিস। পানি সরিয়ে পুলের ভেতরে চেয়ার-টেবিল পেতে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজের সময় ধাতব মই বেয়ে পুলের ভেতরে নামছেন তাঁরা। অফিস শেষে আবার মই বেয়ে উঠে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে। অফিসটি লুবান ডেকোরেশন গ্রুপ নামের একটি অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠানের। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তারপরই সুইমিংপুলের ভেতরে তাঁদের নতুন অফিসের বিষয়টি সামনে আসে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানের ভবনে এখন একই তলায় ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জায়গা। ব্যায়ামাগারের দরজা খুলেই নামা যায় পানিশূন্য সুইমিংপুলের ভেতরে তৈরি করা কাজের স্থানে। তবে সেখানে এখনো রয়েছে গেছে ‘সুইমিংপুল’ লেখা ফলক। তাতে এখনো লেখা ‘১ দশমিক ৫৫ মিটার গভীর পানির এলাকা’।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ সারি ডেস্ক বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়েছে পুলের মেঝেতে। লুবা ডেকোরেশন গ্রুপের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় কল্পকাহিনির চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছি।’ আরেক কর্মচারী বলেন, এভাবেই দুই মাস ধরে অফিস করছেন তাঁরা।
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে অফিস বানানোর পর এর নিরাপত্তা নিয়েও সমালোচনা করছেন অনেকে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বেইজিংয়ের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘ইংলি’র অংশীদার ওয়াং মিং মনে করেন, এই অফিসে প্রয়োজনীয় অগ্নিনিরাপত্তা নেই। আগুন লাগলে কর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে অফিস থেকে কীভাবে বিকল্প পথে বের হবেন, তারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এভাবে অফিস বানানো ভবন নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন। তবে এরই মধ্যে অফিসটি পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেড স্টার নিউজকে তাঁরা জানিয়েছেন, অস্থায়ী এই অফিস খালি করে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল র ভ তর কর মকর ত প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘৪০০ রেকর্ড লারার মতো কিংবদন্তিরই থাকুক’, কোচকে বলেছিলেন মুলডার
রেকর্ডের মালা সাজিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলডার। হাশিম আমলার (৩১১*) পর দ্বিতীয় প্রোটিয়া ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ট্রেপল সেঞ্চুরি করেছেন। দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। অ্যাওয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ৩৬৭ রানের ইনিংস খেলে ভেঙেছেন।
তার চেয়ে বড় কথা ওয়ান মুলডার কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার পথে ছিলেন। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে লারা ২০০৪ সালে ছুঁয়েছিলেন কোয়াড্রপল সেঞ্চুরির কীর্তি। ওই রেকর্ড ঝুঁকির মুখে ফেলে লারার প্রতি সম্মান জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মুলডার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৬২৬ রান তুলে ঘোষণা করে দিলেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার ও অধিনায়ক। প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চে গিয়েছিল ওই রান নিয়ে। দ্বিতীয় সেশনে মুলডারের যখন বিশ্বরেকর্ডের পথে ছোঁটার কথা, তখনই ড্রেসিংরুম থেকে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
অবাক করে ইনিংস ঘোষণার বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুলডার জানান, ট্রিপল সেঞ্চুরি করা, লারার রেকর্ড ভাঙা এসব তো দূরের কথা, তিনি কখনো স্বপ্নও দেখেননি যে ডাবল সেঞ্চুরি করবেন। লারার ৪০০ রানকে খুবই স্পেশাল অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, এই রেডর্ক লারার মতো কিংবদন্তিরই থাকা উচিত।
মুলডার বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি কখনো স্বপ্নও দেখিনি যে, ডাবল সেঞ্চুরি করবো, ট্রিপল সেঞ্চুরির কথা দূরের কথা। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার এই ইনিংস দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য ভালো অবস্থানে নিয়েছে।
ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি। তিনি ৪০০ বা ৪০১ রানের মতো (৪০০ রানে অপরাজিত) করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তার মতো একজনের দখলে এই বিশেষ রেকর্ড থাকা উচিত। আমি (লাঞ্চ বিরতিতে এসে) বিষয়টি নিয়ে কোচ শুর্কি কনরাডের সঙ্গে কথা বলি, এবং জানায়- এই রেকর্ড কিংবদন্তির নামেই থাকতে দিন। লারার রেকর্ড তেমনই আছে, যেভাবে থাকা উচিত।’
ওয়ান মুলডার এখন টেস্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসে মালিক। টেস্টে তার চেয়ে বড় ইনিংস আছে যথাক্রমে মাহেলা জয়বর্ধানে (৩৭৪), ব্রায়ান লারা (৩৭৫), ম্যাথু হেইডেন (৩৮০) ও ব্রায়ান লারার (৪০০*)।