ডিএসইর লেনদেন আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়াল
Published: 8th, July 2025 GMT
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০২ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে এটিই ঢাকার বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজকের আগে ঢাকার বাজারে ৬০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সর্বশেষ ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৬০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেন বাড়লেও আজ ডিএসইতে সূচক খুব বেশি বাড়েনি। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে বাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব শেয়ারের দামও বাড়ছে। তাতে বাজারের সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও গতি ফিরে এসেছে। সোমবার ব্যাংক খাতের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে ঢাকার বাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছিল। আর আজ ব্যাংকের শেয়ারের কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়ায় সূচকের গতিও কম ছিল। এটিকে বাজারের স্বাভাবিক প্রবণতা বলছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, কয়েক দিন কিছু ব্যাংকের শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধির পর এখন অনেকেই এসব শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। তাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন হচ্ছে। তবে এসব শেয়ারের লেনদেন খুব বেশি কমেনি। ফলে বোঝা যাচ্ছে কিছুটা মূল্য সংশোধনের পর এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ যে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ডিএসইএক্স সূচকটি সবচেয়ে বেশি কমেছে, তার মধ্যে ৮টিই ছিল ব্যাংক। সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০ কোম্পানি ছিল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল–আরাফাহ্ ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও গ্রামীণফোন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও গ্রামীণফোন ছাড়া বাকি ৮টিই ছিল ব্যাংক। ৮টি ব্যাংকের দরপতন ডিএসইএক্স সূচক পতনে বড় ভূমিকা রাখলেও অন্য চারটি ব্যাংক আবার এই সূচকটির উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে। কারণ, ওই চার ব্যাংকের শেয়ারের দাম এদিন বেড়েছে। ব্যাংক চারটি হলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। আজ ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০ কোম্পানির তালিকায় এই চারটি ব্যাংকও ছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৭ জুলাই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিনে ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮২.০৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৭৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.৭৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩৬.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৭৮টি কোম্পানির, কমেছে ৭৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৫টির।
আরো পড়ুন:
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন
প্রশিক্ষণ শুধু পেশাগত জ্ঞান নয়, দায়িত্ববোধও বাড়ায়
এদিন ডিএসইতে মোট ৫৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১৩.০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৪.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮১২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৮.০৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৮০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২০০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৯৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৫৪টি কোম্পানির, কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।
সিএসইতে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৪৫ লাখ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক